মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার সংযোগ সড়কের বেহাল দশা|চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছয় গ্রামের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর উপজেলা সদরের আরুয়া সোনারগাঁও থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছিটকি আবাসন প্রকল্প এলাকায় যেতে তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা পড়ে। তারা কুঁড়ি বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে যাতায়াত করেন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় চার হাজার মানুষ।কিন্তু দীর্ঘ বছরেও এ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় এ দুই উপজেলার ছয় গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে|বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
সোনারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ সিকদার বলেন, “শুকনা মৌসুমে ধুলোয় পথঘাট ভরে থাকে আর বর্ষায় কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়।
একই এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক আবুল হোসেন বলেন,রাস্তাটি বিশখালি নদীর কাছে হওয়ায়, অতিবৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেক জায়গা তলিয়ে যায়। এমনকি ভেঙেও যায়।
আওরাবুনিয়া এলাকার রহম আলী বলেন, “তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটিতে রয়েছে ১২টি বাঁশের সাঁকো।যা পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টির সময় সাঁকো গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।”
ছিটকি এলাকার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোনছের হোসেন জানায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন তাদের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজ, সোনারগাঁও জবান আলী খাঁন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দারুসসুন্নাত মোহেব্বীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
মো. জাকির হোসেন নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, এ রাস্তাটি দিয়ে লোকজন পুটিয়াখালি বাজার, আওরাবুনিয়া, কলাকোপা, বড়ইয়া বাজার এবং পাশের জেলার বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
“২০ বছর থেকে শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হইবে, সামনের বছরে কাজ হবে। কিন্তু সামনের বছর আর আসে না।”
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন বলেন,এক সময় এই দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এত মানুষের বসবাস ছিলো না। যে কারণে এ সড়কের প্রয়োজনীয়তা কম ছিলা। এখন যেহেতু জনসংখ্যার পাশাপাশি আশপাশের বাজার আর শিক্ষপ্রতিষ্ঠানও বেড়েছে তাই সড়কটির প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।জনগুরুত্ব বিবেচনা করে রাস্তাটি পাকা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।