আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোসাঃ শাহানারা খাতুন (শানু), ১৯৮৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ৩নং পান্তাপাড়া ইউনিয়ন এর পান্তাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ওই গ্ৰামের মৃতঃ জয়নাল আবেদীন ও জাহানারা খাতুন দম্পতির সন্তান।
তিনি জন্ম সূত্রে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার বাবা মরহুম জয়নাল আবেদীন ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সদস্য। তার ৫ ভাই সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ও আওয়ামীলীগ এর কর্মী।
তার চাচা মরহুম ওমেদ আলী ওরফে ওমর আলী পাকিস্তান আমলে আনসার বাহিনীর একজন সৈনিক ছিলেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ৮নং সেক্টরে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফি উদ্দিন (মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ২১২৪) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার কমান্ডার আব্দুল কাদের এর নেতৃত্বে বিষয়খালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বিষয়খালী যুদ্ধে তাহার সহযোদ্ধা শহীদ সেকেন্দার আলী (মুক্তিবার্তা নং (লাল বই) ০৪০৯০৫০১১৯,শহীদ গেজেট নং ১৮৫০, গেজেট নং ৯২৯) তার সহযোদ্ধা ছিলেন। ভারত থেকে মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে
মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্ৰহণ করেন।
তার বড় ভাই মরহুম আব্দুল কাদের ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের কাস্টমস অফিসার (বিসিএস)। তিনিও আওয়ামীলীগ এর সক্রিয় সমথর্ক ছিলেন।
মরহুম আব্দুল কাদের এর শ্বশুরালয় ও আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত, তার ভাইয়ের শশুর আব্দুল হামিদ চৌধুরী , একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাব-সেকশন কমান্ডার , (নোয়াখালী এরিয়া , গেজেট নং ১৬৭৭)।
তিনি ১৯৯৪ সালে পান্তাপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এ সময় তিনি পান্তাপাড়া প্রাথমিক স্কুল থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৯৫ সালে তিনি ঘুগরী পান্তা পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং প্রতি ক্লাসে তিনি প্রথম স্থানের অধিকারী ছিলেন। ২০০০ সালে এস,এস,সি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হন।
২০০২ সালে মহেশপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হন।এরপর তিনি ২০০৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে টঙ্গী সরকারি কলেজ থেকে বিএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ন হন। এবং ২০০৮ সালে একই কলেজ থেকে মাস্টার্স এ সমাজকর্ম বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ন হন। মাস্টার্স এ তিনি সারা বাংলাদেশ এ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় ৩৬ তম স্থান অধিকার করেন।
২০১৫ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্ধালয়ের অধীন বাংলাদেশ ‘ল’ কলেজ এর রেজিস্টারভুক্ত উত্তরা ‘ল’ কলেজে আইনবিভাগে (এলএলবি) ভর্তি হন এবং ২০১৭ সালে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন।
২০২০ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এবং সমাবর্তন সম্পন্ন করেন।
টঙ্গী সরকারি কলেজ এ পড়াকালীন সময় থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগ করেন এবং রাজপথে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং এ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে আহসানুল্লাহ মাস্টার কে যখন সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে হত্যা করেছিলেন তখন তিনি রাজপথে বিভিন্ন মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওয়ান ইলেভেন এর সময় মিছিল মিটিং এ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০১৬ সালে উত্তরা ‘ল’ কলেজ এ আইনবিভাগে পড়াকালীন সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে রাজপথে ছিলেন। ২০১৯ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে রাজপথে ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি উত্তরা ‘ল’ কলেজ এ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর যুগ্ন আহবায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে তিনি নিজ উপজেলা মহেশপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মেলন এ যোগদানের মাধ্যমে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাথে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি মহেশপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বর্তমান কমিটি একজন সক্রিয় সদস্য। তৃণমূল নেতা -কর্মীদের সাথে যোগাযোগ, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। মহেশপুর উপজেলার সমস্ত পৌর, জাতীয় ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনার মাধ্যমে জন্যগণের সার্বিক অবস্থা অনুধাবন করার চেষ্টা করেন।
মহেশপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাথে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠার কারণে ঝিনাইদহ জেলা পর্যায়ে তার সম্পর্কে আলোড়ন তৈরী হয় এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়, জাতীয় শ্রমিক লীগ কে আরো সুসংগঠিত করার জন্য।
ঢাকা জজ কোর্টে আইনপেশায় নিয়োজিত থাকার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মহিলা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।
সামাজিক কর্মকান্ডের ভূমিকা রাখায় তিনি ড্রিম এইড ফাউন্ডেশন এর শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তাছাড়া নিজ গ্রামে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয় আছে। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঝিনাইদহ-মাগুরা (২৭) মহিলা সংরক্ষিত এমপি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সকলের দোয়া প্রত্যাশী।