নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
সুনামগঞ্জ টাংগুয়ার হাওরে নিষিদ্ধ ১০লাখ টাকার কোনাজাল পুড়ানোর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে ফায়দা নিয়ে,একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলের অপতৎপরতায়,হাওর পাড়ের সচেতন মহল,ও উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক এবং প্রশাসনে মধ্যে চরম ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে।
যেখানে মাদার ফিসারিজ খ্যাত রামসার সাইট টাংগুয়ার হাওরে অবাধে নিষিদ্ধ কোনাজাল ব্যবহার করে, প্রাণিসম্পদ ধ্বংস করছে,সেখানে প্রশাসনের এই কার্যক্রম কে সাধুবাদ না জানিয়ে,নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই অপপ্রচার চালিয়ে প্রশাসনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,গত বৃহস্পতিবার টাংগুয়ার হাওরে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে ১০লাখ টাকা মুল্যের ১১টি নিষিদ্ধ কোনাজাল,ও ৫টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে।জালগুলো অনেকটাই ভেজা থাকায় তাৎক্ষণিক আগুনে পুড়ানো সম্ভব না হওয়ায়,উপজেলা মৎস্য অফিসার এর জিম্মায়, গোলাবাড়ি আনসার ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়।
পরে শনিবার সকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়।
কিন্তু এই ঘটনাটিকে ওই জামায়াত শিবিরের মতাদর্শে কুচক্রী মহল প্রশাসন কে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।জানাযায় এরপূর্বেও এই নিউজের প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম সরকার বিরোধী মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সরকার ও প্রশাসনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে।
এ ব্যাপারে গোলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কবির মিয়া,গোলাম মস্তফা,দুলাল মিয়া,শাহাব উদ্দিন, ডালিম মিয়া,তৌফিক মিয়া,ও জয়পুর গ্রামের সুহেল মিয়া,নুর উদ্দিন,নাজিম উদ্দিন, সহ অনেকেই বলেন আমাদের জানামতে এখান হতে একটি জালও বিক্রি বা অন্যত্রে সরানো হয়নি,জাল বিক্রির যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।এই ভিত্তিহীন সংবাদের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ কবির বলেন,জব্দকৃত জালগুলো আগুনে না পুড়িয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের সুপারিশ আসছিল। কিন্তু আমরা অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে টানা কয়েকদিন ডিজেল পেট্রোল ব্যবহার করে, আগুনে পুড়িয়ে দেই।কিন্তু এই নিষিদ্ধ কোনাজাল আগুনে পুড়ানো ঘটনা কে কেন্দ্র করে আমিনুল ইসলাম নামের একজন সাংবাদিক পরিচর দিয়ে আমাদের কমিউনিটি গার্ডদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।বিষটি আমি জানতে পেরে উক্ত নাম্বারে ফোন করলে উনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আছে ওরা জালে রাতের বেলা আগুন দিয়ে পাঁচটি জাল পুড়ে বাকি ছয়টি জাল বিক্রি করে ফেলছে,পুরাতন জাল দিয়ে বদলি করে। কিন্তু পরের দিন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ১টি জাল পুড়ে ১০টি জাল বিক্রি করা হয়েছে।বিষটি সত্যি হাস্যকর। উনি বলেন উপজেলায় কর্মরত আরেক সাংবাদিক আমাকে ফোন করে বলেন আমি নিউজটি করতে ছিলাম না চাপে পড়ে করেছি।তাই তোমার বক্তব্য দেইনি ও তোমাকে সামনে আনিনি। আহম্মদ কবির অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। প্রমান ছাড়া কিভাবে এমন সংবাদ করল তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
এই বিষয়ে টাংগুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান,জব্দ জাল গুলো প্রকাশ্যে আগুনে পুড়ানো হয় তারপর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। জনস্বার্থে ও মৎস্য সম্পদ রক্ষা কাজ করার পর এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে প্রশাসনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করলে ও কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে টাংগুয়ার হাওরের মাছ রক্ষা করা যাবে না।
এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশন ভূমি আসাদুজ্জামান রনি জানান,মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে টাংগুয়ার হাওরে অভিযান পরিচালনা করি, এসময় ১০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কোনা জাল জব্দ করে, পরে জনসম্মুখে আগুনে পুরানো হয়। এনিয়ে যে সংবাদটি(আগুনে পুড়ানো হয়নি)প্রকাশ হয়েছে তা মিথ্যা, আমি ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করে এর প্রমান পাই নি। তিনি আরও বলেন, জাল পুড়ানোর ভিডিও চিত্র ওদের কাছে আছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।