আতোয়ার রহমান রানা,গাইবান্ধাঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন শাখা যুবদলের ২১ সদস্য কমিটি ঘোষণা হয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর। কমিটি ঘোষণার পর থেকে চলছে ইউনিয়ন জুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়।যুবদলের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে ত্যাগি নেতাদের মাঝে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছে পকেট কমিটি কেউবা বলছেন হাইব্রিডদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের পদ বঞ্চিত একাংশ নেতাদের ব্যানারে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সীচাবাজারে যুবদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মিয়া।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্ব সাবেক জেলা যুবদলের সদস্য, মোকছেদুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদল,সাজ্জাদ হোসেন যুগ্ম আহ্বায়ক,যুবনেতা রফিকুল ইসলাম, আহসান হাবীব হিমেল সহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কাউন্সিল ছাড়া টাকার বিনিময়ে হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ সাংগঠনিক পরিপন্থী।তাই অতি দ্রুত কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগি নেতাদের নিয়ে একটি যোগ্য কমিটি দেওয়া জন্য উপজেলা ও জেলা নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নবাগত ইউনিয়ন যুবদলের কমিটির দুই যুগ্ন আহবায়ক মোকছেদুল ইসলাম এবং সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমাদের অজান্তেই কমিটির যুগ্ন আহবায়ক পদ দিয়েছে তাছাড়া কমিটি প্রকাশ করার আগে আমাদের সাথে কোন রকম পরামর্শ না করেই এই কমিটি করেছে। এমনকি তারা কাউন্সিল এর মাধ্যমে কমিটির দাবি করেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলম জামান মিন্টু সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা যোগ্য কর্মীদের হাতেই যুবদলের কমিটি দিয়েছি। যাতে করে আগামীদিনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে পারে।তাছাড়া আমরা কোন পকেট কমিটি কিংবা হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে কমিটি দেইনি।