তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
ঈদ থেকে শুরু, গেল একসপ্তাহ ধরে টানাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার পর ঝলমলে সুর্যের দেখা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে,দেশের অন্যতম পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আশা পর্যটকরা।
জানাযায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওর এলাকায় গেল এক সপ্তাহ ধরে টানাবৃষ্টি বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত ছিল,কখনো ঝিরঝির আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি এবং সাগররুপি টাঙ্গুয়ার হাওরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কম ছিল। স্থানীয় কিছু পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও বহিরাগত পর্যটকদের আনাগোনা তেমনটা লক্ষ্য করা যায়নি।কিন্তু গতকাল বিকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন না থাকা ও হাওরের পরিবেশ শান্ত থাকায় হাওরের দৃশ্যপট অনেকটাই বদলে গেছে,বেড়েগেছে পর্যটকদের আনাগোনা।এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট নৌচালকসহ সকলেরই প্রাণ ফিরেছে।তবে আষাঢ় মাসে যে কোন সময় টাঙ্গুয়ার হাওরের স্বাভাবিক শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উত্তাল ঢেউ হতে পারে এমন ধারণা থেকে অনেকেই সতর্ক অবলম্বন করে চলতে দেখা গেছে।
আজ (৪জুলাই) মঙ্গলবার টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকায় ঘুরে দেখাযায় ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকারের নৌকায় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে পর্যটকরা ওয়াচ-টাওয়ার এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে।যে যার মতো করে হাওরের স্বচ্ছ জলরাশিতে গাঁ ভিজিয়ে বিভিন্ন আঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছে।এসময় কথা হয় ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয় হতে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক তামিম হাসান এর সাথে তিনি জানান এর আগে আমি কখনো টাঙ্গুয়ার হাওরে আসিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুবার দেখেছি, এইবার আসার সুযোগ হল তাই আসলাম,টাঙ্গুয়ার হাওরের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি অসাধারণ কেউ নিজ চোখে না দেখলে অনুভব করতে পারবেনা।যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন যান্ত্রিক শহরের কোলাহলে কর্মব্যস্ত থাকেন আমি মনে করি তারা সুযোগ পেলেই টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরে যেতে এতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি মিলবে।
ময়মনসিংহ হতে ঘুরতে আসা পর্যটক হাসান মাহমুদ বলেন আমি আর আগে আসিতেছিলাম কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আসতে পারিনি।গতকাল থেকে আকাশে রোদের ঝিলিক দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলাম না।বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছোটে আসলাম টাঙ্গুয়ার হাওরে।এসে খুবই ভাল লাগলো।