মোঃ রাসেল সরকার,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের অব্যাহত চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকামুখী লেন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যানবাহনের অবাহত চাপে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও অংশ সৃষ্টি হয় যানজট। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে গজারিয়া অংশে যানজট শুরু হয়, যা পরবর্তীতে দাউদকান্দির টোল প্লাজা পেরিয়ে দাউদকান্দি মোহন সিএনজি পাম্পের সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
যানজটে আটকে থাকা আসলাম হোসেন বলেন, তার বাসা গজারিয়ায়। তিনি বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে ঢাকাতে চাকরি করেন। প্রতিদিনই পৌনে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হন এবং যথাসময়ে অফিসে পৌঁছে যান। তবে আজকে মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে ৮টা বাজলেও তিনি মেঘনা টোল প্লাজা পার হতে পারেননি। সেজন্য বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান শুরু হয় গত মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়। এবারের অষ্টমী স্নান উৎসব দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। হিমালয়ের মানস সরবরের পানি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসে পূণ্য লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে। সেখানে স্নান করে নিজেদের পাপমোচন করেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এই অষ্টমী স্নানে।