জিহাদুল ইসলাম,তালা উপজেলা প্রতিনিধিঃ নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। একসময়ে নদীনালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় ও প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। তখন আমাদের বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। বর্তমানে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট নানা কারণে আমাদের নদীনালা, খাল-বিল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
একসময়ের কত খরস্রোতা নদী এখন বিলুপ্তির পথে। মাছও পাওয়া যায় না একেবারেই।
এ কারণেই হয়তো মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটা ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম। তাদের অনেকে মাছের নামই জানে না।প্রাকৃতিক জলাশয় কমে যাওয়ায় অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার আয়োজনে পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশন (পিকেএস) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাতের আওতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
সম্প্রতি উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নে কিসমতঘোনা খালে এই পোনা অবমুক্ত করেন তালা ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একসময় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছে হাটবাজার ভরা থাকত। এখন আর সেসব মাছ দেখা যায় না। গত কয়েক দশকে পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে নেই হয়ে গেছে। দেশীয় মাছের বদলে এখন বাজারের জায়গা দখল করে নিয়েছে চাষের মাছ। নদীর মাছে যে স্বাদ, চাষের মাছে সেটা পাই না। চাষের মাছে সব সময়ই কেমন যেন একটা গন্ধ থাকে।অনেকটা ঘাসের মতো। নানা কারণেই দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনতার অভাবও রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ রক্ষায় ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উন্নয়নপ্রচেষ্টার ফিসারি অফিসার সরদার সুমন হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা পাপভীন পাপড়ি, ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রাজ্জাক, জিহাদুল ইসলাম,সরদার কামরুল ইসলাম প্রমুখ।