মোঃ জমির উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ তালা সাতক্ষীরা
স্থানীয় সরকার বিভাগ কতৃক ইজারাকৃত তালা বাজারের কাঁচা মাল ও পশু হাটের মধ্য ইটের ঘর নির্মাণ করা সহ জায়গা দখল করার মহাৎসব চলছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন না দেখার ভান করে চোখ বুজে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইজারাদাররা।
বৃহস্পতিবার(১ জুন) সকালে হাট ইজারার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাটের মাঝখানে বাঁশের খুটি ও ফ্লোর ইট দিকে পাঁকা করেন বারুইহাটি গ্রামর মৃত তাজ উদ্দান মোড়লের পুত্র মিজানুর রহমান মোড়ল। হাট ইজারার আইন অনুযায়ী ইজারা ভুক্ত এলাকায় স্থায়ী ভাবে কোন ঘর নির্মাণ করা যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি তাহা করেন তাহলে সেটি আইনের পরিপন্থী বলে গণ্য হবে। কিন্তু এ আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর নির্মাণ করেন মিজানুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালা বাজারের ইজারা ভুক্ত এলাকায় কিছু কতিপয় ব্যক্তি এর আগেও স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করে বসে আছেন। তবে বেশ কিছু দিন আগে তালা ইউনিয়ন ভূমি অফিস কৃতক স্থায়ী দোকান ঘর ভেঙ্গে দেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার(ভূমি) কিন্ত পরক্ষণে স্থানীয় কিছু কতিপয় নামধারী নেতাদের ম্যানেজ করে পুনরায় দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন পশু হটের ইজারাদার। তিনি হাটে জায়গা সংকলন হওয়ার কারণে ব্যাপারিরা গরু ও ছাগল এনে রাখার জায়গা পাচ্ছেন না।
তথ্য সূত্রে প্রকাশ, তালা উপজেলা সদরের অবস্থিত কাঁচা মাল হাট টি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন আবু সাইদ বিশ^াস। আর একই স্থলে পশু হাট টি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন। যার ইজারা ও বিক্রয় মূল্য হলো, কাচঁ মাল হাটের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার ১১৩ টাকা বিক্রয় করা হয় ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা। পশু হাট টি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৮৯ টাকা আর বিক্রয় করা হয় ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা।
সর্বশেষ উক্ত হাটের মাঝখানে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করার পশু হাটের ইজারাদার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন বলে জানা গেছে।
এমতবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে আগামী বছর থেকে উক্ত পশু হাট আর ইজারা প্রদান করে সরকারী কোষাগারে টাকা প্রদায়ন করতে পারবে না।
দোকান ঘর নির্মাণ কারী মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঘর নির্মাণ করবো। কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। আমার ক্ষমতা আছে তাই দোকান ঘর নির্মাণ করেছি।