মোঃ জমির উদ্দিন,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা তালায় তেতুলিয়া ইউনিয়নের সুভা শুনি গ্রামের জলিল শেখ (৩৫) আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যা নাকি হত্যা,
এবিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
সুভাশুনি গ্রামের জিল্লুর রহমানের একমাত্র পুত্র জলিল শেখ ১১শতক জমির উপর বসত ভিটা নির্মাণ ঘরে থাকতেন। হঠাৎ করে একদিন তার ওপার ক্ষিপ্ত হইয়া জলিল শেখের বাড়ির ভাঙচুর করে একই এলাকার খলিল মোড়ল(৪৫), পিতা আক্কাস মোড়ল(৭০) আক্কাজ মোড়ল ৭০)পিতা সায়েম মোড়ল মৃত) মতিয়ার মাষ্টার ৫৫)কপিদুল মোড়ল ৪০)পিতা সাইদ মোড়ল ৬৫)ড্যানি মোড়ল ৩২)পিতা শফি মোড়ল ৫৫)আজিত খাঁ ৩৫)পিতা শুরু খাঁ মৃত) মজিবার মোড়ল ৫৫) পিতা মৃত সায়েম মোড়ল, সঙ্গবদ্ধ হইয়া জলিল শেখের বাড়ি বেড়া ভাংচুর করে এলাকার প্রভাবশালী আরো অনেকে।
জলিল শেখ ১লা মে গত সোমবার রাতে আম গাছের ডালে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে জলিল শেখের সাথে জমি জায়গায় নিয়ে বিরোধ চলছিলো এদিকে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
জলিল শেখের পিতা জিল্লু শেখ জানান, খাসের জমিতে আমার একটিমাত্র ছেলে থাকতেন। আমার ছেলে জলিল শেখ মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তাকে বিভিন্ন ভাবে অপমানজনক কথা বলায় এবং মারধর করায় এই অভিমানে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । তার ছোট বাচ্চা রেখে আত্মহত্যা করেছে এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টদায়ক। যে আমার সংক্রান্ত মামলা চলমান আদালতে।
জলিল শেখের মা আছিরোন বিবি জানান, মজিবার মাস্টার ও মতিয়ার মাস্টার সহ এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমাদেরখাস জমি দখল করে নিতে চাই। সেজন্য আমার ছেলে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার কারণেই আজ আমি ছেলে হারা হয়েছি।আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।
অন্যদিকে জানা যায় জলিল শেখ নিজ বাড়িতে একটি আম গাছের ডালে গলায় রশি দিয়ে গভীর রাতে আত্মহত্যা করেছে। তবে লাশ টি নিয়ে সরাসরি মর্গে থেকে পোস্টমর্টেম শেষে দাফন সম্পন্ন করেছেন। জলিল শেখ মৃত্যুর আগে তার হাতের একটি লিখিত চিঠি রেখে গেছেন। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোক আমার জীবন নাশের হুমকি দিতো ও আমার পরিবারের
উপর জুলুম নির্যাতন করতো
জলিল শেখের বোন মনজিলা বেগম জানান, জমি জমা নিয়ে আমার ভাই সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। যার মামলা ধারা নাম্বার ৪৪৭ /৪২৭ /৫০৬ (২য় অনু)/১১৪ পেনাল কোড। মামলার আসামিরা হলেন, সুভাশুনি গ্রামের আক্কাজ আলী মোড়লের পুত্র খলিল মোড়ল
(৩৬), কাশেম মোড়লের পুত্র জাহিদ মোড়ল(৫৫) ও সাঈদ মোড়ল(৫৮), মৃত সরুখার পুত্র আজিজ খাঁ(৪২)। মামলার তারিখ -০৪ /০৪ /২০২৩। সময় আনুমানিক সকাল ৯ ঘটিকা। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিগণ এলাকার প্রভাবশালী ও ত্রাস সৃষ্টিকারী, অসামাজিক ও প্রকৃতির ব্যক্তিবর্গ।
তিনি আরো জানান, খলিল মোড়ল (৪৫)পিতা আক্কাজ মোড়ল(৭০), মতিয়ার মাস্টার ও মজিবার মাস্টার সহ কয়েকজন, আমার ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের ভেতর থেকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজহ ও মারপিট করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের সঠিক বিচার চাই।
জলিল শেখের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে,,,