শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ২৯টি পূজামন্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ । এখন প্রতিমাগুলো রং করার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। ভক্তরা মা দুর্গার আগমনের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন,, জানাতে আরতি। আর দশমীর আরাধনার মধ্যে দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গা উৎসব ।
সোমবার (১৭অক্টোবর) সকালে উপজেলার নবারণ সংঘ ট্যাকেরঘাট,নোয়াবন্দ, তাহিরপুর খলা হাটিসহ বেশ কয়েকটি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মৃৎশিল্পীরা দিন রাত কাজ করে , শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ার প্রস্তুত হচ্ছে প্রতিমা। এ উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে ৮টি সার্বজনীন দু’টো ব্যক্তিগত, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ৩টি, বাদাঘাট ইউনিয়নে ৫টি,( দঃ)বড়দল-২টি উত্তর বড়দল -১টি তাহিরপুর -৪টি বালিজুরী ৪টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব পালিত হবে।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলীগাও গ্রামের রতীশ পাল ও বড়ছড়া গ্রামের গোপী পাল নিজেস্ব উদ্যোগ শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন করবেন।
নবারুণ সংঘ ট্যাকেরঘাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জুয়েল সেন বলেন, মা দুর্গার আগমনে সত্যের জয়,অনিষ্টের বিনাশ অবধারিত। মা দুর্গার শুভ দৃষ্টি কামনায়,পুরু পাঁচ দিন ধনী গরীব মিলে সবাই পূজা অর্চনা আরতি জানাতে থাকেন ভক্তরা। আমাদের এ ট্যাকের ঘাট পূজা মণ্ডপে (প্রায়) পঞ্চম বছর ধরে শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে।
তাহিরপুর উপজেলার সার্বজনীন দুর্গা পূজার উদযাপন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুবাস পুরকায়স্থ বলেন, আমাদের উপজেলার বসবাসরত মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।একে অন্যের মধ্যে ভ্রান্তিবোধ বজায় রেখে চলাফেরা করা হয়। এর ফলে ধর্মীয় সামাজিক সম্প্রতি বজায় রেখে, পূজা অর্চনায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের সহযোগীতায় ধর্মী উৎসব পালিত হয়। এবছর সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, তাই অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে, সীমান্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে কোন মন্ডপেই ঝুঁকি পূর্ণ নয়। তবুও সুশৃঙ্খলার্তে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, সর্বজনীন দুর্গা পূজায়, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা, যেন না ঘটে। উৎসব মুখর পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।এছাড়াও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা সেমিনারের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করেছি,আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়,প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এতে অপ্রীতিকর ঘটনা সব ধরনের প্ কাজের রেকর্ড থাকবে। তাই পূজা উদযাপন কমিটিকে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।