মুরাদ মিয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব সূত্রতার জের ধরে তাহিরপুরে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় বর্তমান ২বারের ইউপি সদস্য,মো. সাজিনুর মিয়া (৫৮) ও তরুণ ব্যবসায়ী মো. জিলানী মিয়া (৩৭)কে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মইয়াজুরী এরাল্ল্যাকুনা জঙ্গল এলাকার পাশে জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোট মনিকে কুপিয়ে জখমের এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায় ২৬মে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় ঘটনার পর রাতেই গুরুত্বর আহত অবস্থায়,জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোটমনি (৩০)কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাযায় মধ্যনগর থানাধীন( আটকৃত জেলখাটা আসামী ও আলোচিত ভারতীয় অবৈধ পথে আসা চোরাই চিনির চোরাকারবারি ও একাধিক মারামারির মামলার আসামী মো.কুতুব উদ্দিন,বাদী হয়ে,৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া, ও ব্যবসায়ী মো. জিলানী মিয়া কে জড়িয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে,২৭/০৫/২০২৪ইং সোমবার তাহিরপুর থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১২
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের ২বারের বর্তমান ইউপি সদস্য,মো. সাজিনুর মিয়া, বলেন,নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে পরাজিত হয়ে প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোটমনি গংরা আমাকে ও আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,আহত জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোট মনির(২৩)এর বসতবাড়ি হতে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থল।
ঘটনাস্থলে গ্রামের কেউ যেতে চাইলে,জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোটমনি এর বাড়ির সামন দিয়েই যেতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মারামারির বিষয়ে আমি ও আমার ছেলে কিছুই জানি না। আমাকে ও আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে একটি চক্রের মাধ্যমে মামলায় হুকুম দানকারী করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী জিলানী মিয়া,এব্যাপারে বলেন, ঘটনার আগের দিন অর্থ্যাৎ (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭ টায় ব্যবসায়িক কাজে আমি বাদাঘাট বাজারে এসে রাত্রি জাপন করি। পরের দিন সকালে অর্থ্যাৎ (২৬ মে) রবিবার ব্যবসায়িক পার্টনার নিয়ে বাগলী ডিপোতে যাই। সেখানে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে বাদাঘাট বাজারে চলে আসি। এদিকে মইয়াজুরি জঙ্গলে পূর্ব পরিকল্পিত হামলার ঘটনার প্রায় ১০/১৫ মিনিট এদিক সেদিক আমি বাদাঘাট বাজারে ছিলাম । তাহলে কিভাবে আমি ঘটনাস্থলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহিরুল মিয়াকে কুপিয়ে আহত করলাম। সাড়ে ৭/৮ দিকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে ১০ টার সময় সুনামগঞ্জে আসি। ঘটনার পর পরেই আসামিদের গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ আদালতে চালান দেওয়ার পর (২৭ মে) সোমবার সুনামগঞ্জ থেকে জানতে পারি আমি এবং আমার বাবা হুকুমের আসামি। ২৫ এবং ২৬ তারিখের ভিডিও ফুটেজ বাদাঘাট বাজারের সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত আছে।
প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি রইল যেনো পূনরায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইল।
আহত জহিরুল ইসলাম ওরফে ছোট মনির একটি ভিডিও বক্তব্যেঃ জানাযায়, ঘটনার জড়িত ছিলেন,যারা
তারা হলেন।মাইনুর মিয়া,সুজন মিয়া,আলীজান,লাদেন মিয়া,শামীম মিয়া,ও তোফাজ্জল মিয়া।
কিন্তু এ ঘটনায় ইউপি সদস্য,মো.সাজিনুর মিয়া,ও মো.জিলানী মিয়া বলেন, আহত জহিরুল ইসলাম এর একটি ভিডিও বক্তব্যে দেখা যায়।আমার বাবা ও আমার নাম শুনা যায়নি।এটা সম্পন্ন পরিকল্পিত ভাবে একটি নাটক সাজানো হয়েছে।