শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অধিকাংশই ভূমি পানির নিচে নিমজ্জিত। কার্তিক -অগ্রহায়ন মাসেই, বীজ বপনে উপযোগী হয়ে ওঠে। তখন কৃষক কৃষাণীরা দিন-রাত, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চাষবাদ ও আগাছা মুক্ত করণে, নিবিড় পরিচর্যায় বীজ রোপণে, ব্যস্ত সময় পাড় করেন।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাওর শনি, মাটিয়ান, হালি, পালইসহ,বর্ধিত গুরমায় বোরোধানের ফসল উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। আর এসব হাওরের তীর বা কান্দা হেমন্তের মাঝামাঝি সময়েই, ভূমি জেগে ওঠায়, কৃষক কৃষাণীরা বীজ তলার কাজ শেষ করে বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পাড় করেন। মাস, দুই- তিনের পর চারা লাগাবেন হাওরের (ক্ষেতে) বা জমিতে। তাই দ্রুত বীজ রোপণ করে যাচ্ছেন কৃষকরা। অন্য থায় চারা গুলো ছোট থাকলে, জমির পানিতে তলিয়ে গেলে পাতা পচনধরার আশংকা। এ কারণে পচনরোধে, দুর্বার গতিতে বীজ তলার কাজ শেষ করছেন।
হাওর পাড়ের কৃষক শাহীন বলেন, হেমন্ত চললেই শীতের বার্তা পৌঁছে দেয়,তখন আকাশের কোয়াশার বিন্দু বিন্দু জল,গাছ -বৃক্ষ, তরু লতার শিশির ভিজিয়ে উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে । একারণে খুব সর্তকতার সহিত ধানের বীজ ভিজানো, ঝাঁক বেঁধে দেওয়া, অঙ্কুর না আসা পর্যন্ত শ্রম দিতে হয় বীজে। আর তা, নিদিষ্ট সময়ে মধ্যে বীজ তলায় রোপণের কাজ শেষ করতে হয়।
অন্য থায় ভালো চারার, আশা করা যায় না।
আর ভাল চারা না হলে,, বাষ্পার ফসলের কল্পনাই করা যাবে না,,তাই সঠিক সময়ের মধ্যে বীজ তলার কাজ শেষ করতে হয়। তাই কৃষক দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। এর সাথে পরিমাণ মাফিক জল-সার কীটনাশক ও দিতে হয়।আর এবার ত দ্রুত গতিতে পানি কমে যাচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান উর দৌল্লা’র কাছে জানতে চাওয়া হলে? তিনি বলেন, এ উপজেলায় ৩২ হেক্টর ভমিতে বীজ রোপণ করা হয়। এর মধ্যে উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর হতে ২৯শতজন কৃষককে, জনপ্রতি ২ কেজি করে (মোট ৫টন ৮০০কেজি) হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ বিনামূল্যে দেওয়ার হয়েছে ।