সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক যুগান্তর রিপোর্টার (তাহিরপুর) সাংবাদিক হাবিব সারোয়ার আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক আজাদের বাড়িতে এ হুমকি দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক আজাদ রাতেই তাহিরপুর থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেছেন। জিডি নং৫৪২। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘অবশেষে বদলি তাহিরপুরের ইউএনও, জাদুকাটা নদীতে নির্মাণাধীন সেতুতে এক ড্রেজারের ধাক্কায় ৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, জাদুকাটা নদীতে ড্রেজারে খনিজ বালু-পাথর উত্তোলন, ড্রেজার জব্দ ও ড্রেজার মালিকদের গ্রেপ্তারে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ, বাদাঘাট বাজারে ভারতীয় নাসির বিড়ির চালান জব্দ, কলাগাঁও সীমান্ত ছড়া নদীতে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জেরে গত কয়েকদিন ধরে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন মুঠোফোনে হোয়াটস অ্যাপে ও তার লোকজন প্রকাশ্যে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ, সরকারি দপ্তর থেকে উপজেলার বিভিন্ন নৌঘাট, হাটবাজার ইজারা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ না করার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে আসছিলেন সাংবাদিক আজাদকে। এর জের ধরে গত শুক্রবার (১২ই জুলাই) বিকালে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন নিয়ে সাংবাদিক আজাদের বাদাঘাট কলেজ রোডের বাসার ভেতর ডুকে উত্তেজিত হয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে সাংবাদিক আজাদ বিষয়টি থানায় অবগত করলে রাতেই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিক হাবিব সারোয়ার আজাদ বলেন, সংবাদের জের ধরে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
এরপর থেকে পরিবারসহ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তিনি। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে আমি গিয়ে তাদের ফিরিয়ে এনেছি। এখন সে অপপ্রচার করছে তাকে আমি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছি। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে সাংবাদিক আজাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাবকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেছেন।