ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
আরব্য উপন্যাসের সহস্র রজনীর ‘আলী বাবা ও ৪০ চোর’ গল্পের একটি জাদু শব্দ। যে গল্পে ৪০ জন চোর তাদের চুরি করা ধনরত্ন একটি গুহায় লুকিয়ে রাখত।
আরব্য রজনীর সেই গল্পটা মানুষ যেভাবে চিন্তা বা কল্পনা করেন তার ওপর ভিত্তি করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নির্মাণাধীন হয়েছে আলী বাবা থিম পার্ক। যেখানে গেলেই মনে করিয়ে দেবে আরব্য উপন্যাসের আলী বাবার কথা।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিমি দূরে মীরগঞ্জ-চৈতন্যবাজার-ইমামগঞ্জ বাজার হয়ে সোজা উত্তর দিকে গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার সম্মিলন স্থানে তিস্তা নদীর তীরে ধু-ধু বালুচরে ৩৫ একর জমির উপর চমৎকার এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত হচ্ছে আলী বাবা থিম পার্ক।
আরব্য উপন্যাসের সেই জাদু শব্দ ‘চিচিং ফাঁক’ বলে দরজা খুলে মণিমাণিক্য না মিললেও এই আলী বাবা থিম পার্কের প্রবেশপথেই চোখে পড়বে আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত নির্মাণাধীন ২০ মিটার উঁচু ভাস্কর্য, দেয়ালে দেয়ালে চোখে পড়বে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আল আকসা, পবিত্র কাবা শরিফ, হজরত ফাতেমা (রা.)-এর বাড়ি, জর্ডানের মরুভূমির সেই সাহাবি গাছসহ খোদাই করা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনের চিত্র। দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে সিমেন্ট দিয়ে গাছের আদলে তৈরি বসার চেয়ার, রয়েছে বেঞ্চ।দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে নয়নাভিরাম রাস্তা।
বর্তমানে প্রতিনিয়ত এই পার্কটি কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা, রংপুর কুড়িগ্রাম জেলার শত শত দর্শনার্থী ভ্রমণ করতে ছুটে আসেন আলী বাবা থিম পার্কে