উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর)
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ৯ নম্বর ঝাঁপা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান হানুয়ার গ্রামের সুনামধন্য বিএনপি পরিবারের কৃতিসন্তান মফিজুর রহমান (মফিজ) দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। বিপদে আপদে দলীয় লোকজনের কাছে ছুটে যাওয়ায় তার একমাত্র কাজ। তিনি বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলের আগ থেকে পাঁচ বছরের অধিক সময় ঝাঁপা ইউনিয়নে চেয়ারম্যন হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ১৭/১৮ বছর তিনি ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মি ও ভোটারদের প্রাধান্য দিয়ে আসছেন এবং তাদের পাশে থেকে সব সময় খোঁজ খবর নিয়ে আসছেন। প্রতিনিয়ত কোন না কোন হাট বাজার কিংবা মোড়ে মোড়ে জনগণের সাথে মতবিনিময় করে আসছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি রাতদিন দলীয় নেতাকর্মি ও দলীয় ভোটারদের সাথে নিয়ে চলতেন। কিন্তু অভাগা স্বৈরাচারী সরকারের আমলে জবরদখলের নির্বাচন হওয়ায় তিনি প্রার্থী হওয়া থেকে সরে এসেছিলেন। তবে এবারে তার একটাই আশা পূর্বের ন্যায় আবারও জনপ্রতিনিধি হয়ে ইউনিয়নবাসীর খেদমত ও সেবা করা। তাই এবারে স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ায় তিনি জনগনের চাওয়া পাওয়া ও তাদের দাবীর মুখে আগামী দিনের চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন বলে আগাম ঘোষনা দিয়েছেন তিনি। বৃহত্তর এই ঝাঁপা ইউনিয়নের ব-দ্বীপ বিশিষ্ঠ ঝাঁপা গ্রামসহ অন্যন্য সকল গ্রাম থেকে তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ছাড়াও পুরো ইউনিয়নের যুবকশ্রেণি তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে কঠোরভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন। এ বিষয় নিয়ে ইউনিয়নের অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছে আগামীতে তরুনদের বেশি করে প্রাধাণ্য দেওয়া হবে। যার কারনে আমরা অল্প বয়সী একজন ব্যক্তিকে খুজে পেয়েছি যিনি দলের দূদিনে নেতাকর্মিদের সাথে এবং পাশে ছিলেন। তাই আমরা তাকে ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই। আশা করছি আগামী নির্বাচনে দল আমাদের এই তরুন উদীয়মান নেতা মফিজুর রহমান ভাইকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নেতা মফিজুর রহমান বলেন, দল আমাকে দেখে মনোনয়ন দিবে না। আমার কর্মকান্ড দেখে মনোনয়ন দিবে। দলের দূদিনে বিপদে পড়া নেতাকর্মিদের পাশে ইউনিয়ন থেকে একমাত্র আমিই ছিলাম। সব সময় ইউনিনের দলীয় নেতাকর্মি ও সাধারণ ভোটারদের খোজ খবর রাখতাম।যার কারনে স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমি সহ আমার ছোট ভাইরা কয়েকবার রাজগঞ্জ বাজারসহ আশপাশে কয়েকবার হামলার স্বীকার হয়েছি এবং কয়েকটি মামলাও খেয়েছি। তাই আশা করছি উপর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ইউনিয়নে খোঁজ খবর নিয়ে দলীয় কর্মকান্ডে সন্তষ্টি হয়ে অবশ্যই আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আমাকেই দলীয় মনোনয়ন দিবেন। আর মনোনয়ন দিলেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দলকে একটা সুন্দর চেয়ারম্যান উপহার দিবো। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নে বিগত সময়ে প্রায় আড়াই বছর চেয়ারম্যান হিসাবে সুনমের সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। এ সময় দলীয় লোকজনকে সর্বোচ্ছ প্রাধান্য দিয়েছি। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনের কাতারে রেখে সকল কাজকর্ম পরিচালনা করেছি। সে দিক থেকেও বিচার বিবেচনায় আসলেও দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে ইনশাল্লাহ।