মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাগৃতি কার্যকরী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ শপথ গ্রহণ ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের উদ্বোধন করলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ১৫০ বার পঠিত

মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-এসটিপি) উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের পাগলা পয়ঃশোধনাগারের পুননির্মাণ ও সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ওয়াসার ‘দাসেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে সুদৃশ্য এই অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সমন্বিত আধুনিক ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন পয়ঃশোধন করা সম্ভব হবে। দেশে এটাই প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র হবে এটি।
দাশেরকান্দি শোধনাগার প্ল্যান্ট, যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেতন, মগবাজার, মালিবাগ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানিয়েছেন, এ ধরনের একক পয়ঃশোধনাগার প্ল্যান্ট দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম এবং এটিই সেরা। প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, নর্দমা থেকে আনা পানি প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশোধিত করে বালু নদীতে পড়ছে, যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়াবে। এমনকি এই পানি সুপেয় করে তোলা সম্ভব হবে। আর এখান থেকে পাওয়া ফ্লাই অ্যাশ দিয়ে তৈরি হবে সিমেন্ট। এ জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাই অ্যাশ, পয়ঃশোধনের উপজাত সিমেন্ট কারখানায় বিক্রি করা হবে। সেটি করা হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে।
দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মহসিন আলী বলছেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টন ছাই পাওয়া যাবে। এই ছাই প্রসেসিং করা হলে ১০ শতাংশের মতো পাওয়া যায়। যার পরিমাণ প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টন। এই ছাইটা সিমেন্ট কোম্পানিতে যাবে।
প্রতি তিন মাস পরপর ভারতীয় একটি কোম্পানির মাধ্যমে বিষয়টি চেক করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব। এটা হাতিরঝিল সমন্বিত একটি প্রকল্প অংশ। হাতিরঝিল করার সময় এটির ডাইভারশন লাইন করা হয়। সেই ডাইভারশন লাইন দিয়ে পয়ঃবর্জ্য ফেলা হতো রামপুরা খালে। ঢাকার অন্যতম এই জলাশয়কে বাঁচাতে প্ল্যান্টটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, পরিবেশদূষণ কমাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পয়ঃশোধনের পর এখান থেকে দৈনিক ৪০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি (এফ্লুয়েন্ট) পাওয়া যাবে। যা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নিষ্কাশিত হবে গজারিয়া খাল তথা বালু নদীতে। এর ফলে রামপুরা খালসহ বালু নদী ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানির মানের আরও উন্নতি হবে। প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। ‘এসডিজি লক্ষ্য-৬’ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে এই প্ল্যান্ট।
ওয়াসা জানায়, চীনের অর্থায়নে ৩ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২ দশমিক ২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এই অর্থের ১ হাজার ১০৬ দশমিক ৪২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা ওয়াসার তহবিল থেকে ব্যয় হবে। এ ছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির বাকি ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি থেকে সহায়তা হিসেবে আসবে।
প্রকল্পটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫৬০ টন প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতাসহ একটি স্লাজ ড্রাইং-বার্নিং সিস্টেম রয়েছে। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। পাওয়ার চায়নার অধীনে চেংডু ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের ডিজাইনে নির্মিত প্রকল্পটি এক বছরের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।