হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার দুদকের মামলায় পারভিন আক্তার নামক রেজিস্ট্রার জেল হাজতে
।সিলেট মহানগর দায়রা জজ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ, করলে বিজ্ঞ বিচারক আত্মসমর্পণ
না মঞ্জুর করে হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার পারভিনকে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয।
পারভিন আক্তার সিলেট সাব রেজিস্ট্রার থাকাকালীন ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব র্ফাকি
দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদকের আইনজীবী
লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করে
একটি কোম্পানি নামে থাকা ১৫ একর বাড়ি শ্রেণীর ভূমিকে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণী দেখিয়ে ভূয়া কাগজপত্র মাধ্যমে একেই দিনে
১২ টি দলিল সৃষ্টি করে রেজিস্ট্রশন করে দেন তিনি।
তাতে সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯
টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। পরে এ ঘটনায়
কোম্পানি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল
আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২
জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ
আদালতে মামলা করেন।
মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাব রেজিস্ট্রার
পারভিন আক্তারকে দুই নম্বার আসামি করে ২২
জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মামলায় পর আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনাকে
তদন্তের ভার দেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক
ইসমাইল হোসেন। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পারোয়ান জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালতে থেকে জামিন নিলেও পারভিন সহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
সোমবার আত্মসমর্পণ করলে আদালত পারভিন কে জেলহাজতে পাঠান। এদিকে সিলেট আদালতে আত্মসমর্পণ না করে নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রার পদে অফিস পারভিন আক্তার।
গেল বুধবারও তিনি হাটহাজারীতে অফিস করেছেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন
কয়েকজন দলিল লেখক।
বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বিল্ময় প্রকাশ করে
তারা বলেন দুদকের মামলা কিংবা রাজস্ব র্ফাকি
দেয়ার বিষয়টি জানতেন না। এদিকে সাব রেজিস্ট্রার জেল হাজতে থাকায়, হাটহাজারী রেজিস্টা অফিসে ভূমি রেজিস্টারিতে ভোগান্তিতে
পড়েছে ভূমি মালিকরা। একই সাথে সমস্যার সম্মুখিন দলিল লেখকরা। হাটহাজারী পেরিয়ে তারা রেজিস্ট্রার কাজে শরানাপন্ন হচ্ছেন।
ফতেয়াবাদ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এতে সময়ের
যেমন অপচয় তেমনি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারছেন না। তাদের কার্যক্রম দুর্ভো লাবে তারা
দ্রুত সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি জানান।।