জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাতের আধারে দুর্বৃত্তের হাতে নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামের দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজারে নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন,রাজনীতি মানে দেশের মানুষের জন্য সেবা করা। আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষের পর দলীয় স্বার্থ। এই দুই অনাথ শিশুর ভবিষ্যৎ যেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়,এই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।অবুঝ শিশু দুটি যেন সুস্থ এবং হাসিখুশি স্বাচ্ছন্দ্যের লেখাপড়া করতে পারে এই কামনায় করি। শিশু দুটি যতদিন লেখাপড়া করবে তাদের খরচ আমি বহন করব। এছাড়া আমি নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুলের পরিবারের পাশে বিপদে আপদে সব সময় থাকবো।
উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান লিটুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা। আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ, সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন, সৈয়দ নিয়ামুল ইসলাম নিয়ন, আজমীর শেখ।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উদয় নারায়ন সরকারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন-জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আসহান হাবিব রাজিব,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু,নিহত জাহিদুল ইসলামের বাবা আবুল হোসেন মেম্বার প্রমূখ।
উল্লেখ্য রোববার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় এলে সাত-আটজন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মৃত্যু হয় তার।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।