মুজাহিদ সাতক্ষীরা ব্যুরো:
সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকার মাহফুজুর রহমান মুকুল, রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগী শাহেব আলী মৃধার অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই ঘটনায় অতিষ্ট হয়েউঠেছে এলাকাবাসী। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক শেখ। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে ওই তিন যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মাহফুজুর রহমান মুকুল, একই এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগী মৃত দবির মৃধার ছেলে শাহেব আলী মৃধা আমার নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় জোরপূর্বক ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তিনি ঘটনার বর্ননায় উল্লেখ করেছেন দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের হুদা গাজী ছেলে শিমুল গাজীর সাথে তার মেয়ের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আমার মেয়েকে তার স্বামী বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালাতো।
এক পর্যায়ে জামায়ের অত্যাচারে মেয়েকে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে রেজিস্টার কামরুজ্জামানের মাধ্যমে তার অফিসে দেল-মহোর খোরপোষ বাবদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নেই। ঘটনার সময় ওই এলাকার বখাটে যুবক মাহফুজুর রহমান মুকুল, রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগী শাহেব আলী মৃধা আমার নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পারুলিয়া কাজি অফিস থেকে বের হলেই ওই চাঁদাবাজ চক্র আমাকে ঘিরে ফেলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দাবিকৃত চাঁদার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে খুন জখমের হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ও ইনতাজুল ইসলামসহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে চাঁদার টাকা দিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। তার পরেও ওই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চক্র বিভিন্ন আশফলন করে জোরপূর্বক ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে। এই সন্ত্রাসী ছিনতাই চক্রের সাথে থাকা শাহেব আলী ৫ বছর আগে আমার কাঁকরার ব্যবসার কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। ২০২০ সালে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে ৫০ হাজার টাকা টিটি করার জন্য ব্যাংকে পাঠালে ওই টাকা ছিনতাই হয়েছে দাবিকরে নাটক সাজিয়ে তা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে জানতে পারি সে এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
এর পর তাকে আমি ওই কর্মচারিকে আবার ব্যাবসার কাজ থেকে অব্যাহাত দেয়। খোজ নিয়ে জানতে পারি সন্ত্রাসী শাহেব আলী মৃধা সম্প্রতি রাজবাড়ী থানায় মাদকসহ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। সে এখনো এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এই ছিনতাই চক্রকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আব্দুর রাজ্জাক শেখ।