এম এ মান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তৃনমূল আওয়ামী লীগের দাবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা এম এম এ রেজা পহেলকে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মী। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাইকুরাটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনে পরাজিত হন। তৃণমূলের দাবি, উনার মত শিক্ষিত, সৎ সাহসী, মেধাবী ও বঙ্গবন্ধুর পরিক্ষিত সৈনিক উনি নেতৃত্বে আসলে কোন বিদ্রহী, অনুপ্রবেশকারী,হাইব্রিড নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসতে পারবেনা, প্রকৃত আওয়ামীলীগের লোক মূল্যায়ন পাবে। তার বাবা মৃত মতিউর রহমান তালুকদার ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন মৃত্যুর আগ-মুহুর্ত পর্যন্ত। এম এম এ রেজা পহেলর শিক্ষা জীবনে বি এস এস পাশ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ১৯৮৮ সালে তিনি ছাত্রলীগে প্রথম সদস্য হন। পরে ১৯৯৪ হইতে ১৯৯৭ পর্যন্ত বাদশাগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ১৯৯৭ হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ১৯৯৯ হতে ২০০১ পর্যন্ত বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ২০০৩ হতে ২০০৬ পর্যন্ত পাইকুরাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি ২০০৬ হতে ২০১১ পর্যন্ত ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সদস্য ২০১২ হতে ২০১৩ পর্যন্ত ধর্মপাশা উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ২০১৩ হতে ২০২১পর্যন্ত উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন। বর্তমানে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।তিনি ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় ৩৭ দিন কারা বরন করেন এবং আর্থীক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। বিগত দিনে করোনা কালীন সময় ও গত বন্যায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরন ও সার্বীক সহযোগিতা করেছেন। ধর্মপাশার সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বে থাকা আহমদ হোসেন বলেন, ধর্মপাশা সম্মেলন হবে, তবে কোন বিদ্রহী, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান কারী,অনুপ্রবেশকারী,হাইব্রিড তারা পদ পদবী পাবে না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামিলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তাই সৎ ক্লিন ইমেজের নেতারাই নেতৃত্বে আসবে।