মোঃ রায়হান আলী নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার সময় কেন্দ্র থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রী আরেক জনের বদলে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।আটককৃত কলেজ ছাত্রী হলেন, কাঁশোপাড়া ইউপির ছোট চক-চম্পক গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাওফা সাফী সিফা । সে উপজেলার চকউলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজ ছাত্রী যার বদলে পরীক্ষায় প্রক্সি দিচ্ছিলেন সে উপজেলা কাঁশোপাড়া ইউপির ছোট চক-চম্পক গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আঙ্গুর আক্তার।
জানা গেছে, শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোতবাজার আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে চকউলী ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীসহ ছোট চক-চম্পক উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য উপজেলায় নিয়ে আসেন। শিক্ষক দুইজন ওই পরীক্ষায় কেন্দ্র গার্ডের দ্বায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষকদের সহযোগীতায়, প্রবেশ পত্রে নিজের ছবি ব্যবহার করে প্রথম পরীক্ষা থেকে সব কয়টি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন কলেজ ছাত্রী। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তার প্রবেশ পত্র দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পরে ওই পরীক্ষার্থী।
ওই সময় আসল পরীক্ষার্থী আঙ্গুল আক্তারকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে পাশের হার বাড়াতে ছোট চক-চম্পক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের নির্দেশে একজনের বদলে আরেকজনকে পরীক্ষায় বসানোর জন্য ছবি বদলসহ নকল প্রবেশ পত্র তৈরিতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সহায়তা নেন। কিন্তু ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর না হওয়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সন্ধ্যার পর ঐ ছাত্রীকে মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং দুই শিক্ষকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় অসাধু দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভ্রম্যমাণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করায় এক কলেজ ছাত্রীসহ দুই শিক্ষককে উপজেলায় নিয়ে আশা হয়েছে। আঙ্গুরী আক্তার যে শিক্ষার্থী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আটককৃত কলেজ ছাত্রী সেফার বয়স ১৭ বছর হওয়াতে তাকে মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষা দপ্তরের বিষয় হওয়াতে জোতবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসাকে এ বিষয়ে রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। এরপর সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে। আইনি প্রক্রিয়া ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।