মোঃ রায়হান আলী নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় পশ্চিমদুর্গাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে চাকরি প্রত্যাশীর আবেদন পত্র জম না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আলীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় আবেদনকারী ভক্তভোগী মানসুরা খাতুন (১৫ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকায় কয়েকটি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনের জন্য নোটিশ দেন প্রধান শিক্ষক মমতাজ আলী। ভুক্তভোগী মানসুরা খাতুন জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৩ ও ১৪, অক্টোবর আবেদন ফরম জমা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক তালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ ১৫ অক্টোবর স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বেলাল হোসাইন এর সহযোগিতায় আবেদন ফর্ম জমা দিতে গেলেও আবেদন ফর্ম গ্রহণ করেননি প্রধান শিক্ষক। মানসুরা আরোও জানান ২০১২ সালে আমার স্বামী আমিনুল হোসেনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন ঐ প্রধান শিক্ষক।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, মানসুরা বেগম ১৩ তারিখ ও ১৪ তারিখ আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে সেটি গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে ১৫ তারিখ আমি নিজে গিয়েও সুপারিশ করেছি কিন্তু সেটি গ্রহণ করা হয়নি। ইতিপূর্বেও এই প্রধান শিক্ষক মানসুরার স্বামীর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বিষয়টি স্থানীয়রা অবগত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মমতাজ আলীর বলেন, নবম ও দশম শ্রেণী শাখা চালু করার জন্য মানসুরার স্বামী আমিনুল হোসেন কিছু টাকা খরচ দিয়েছেন। সেটা বারো সালের ঘটনা ১৩ সালে কথা হবে, ১৩ সালের ঘটনা ১৪ সালে কথা হবে, এখন ২৩ সাল এখন কেন এসব কথা। আবেদনপত্র জমা না নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
যেদিন সময় শেষ সেদিন ৪টার পরে তিনি আবেদন ফরম জমা দিতে এসেছিলেন এই জন্য সেটি গ্রহণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করাই মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।