মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ মান্দায় “ছোট চক চাম্পক দাখিল মাদ্রাসার ৪তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে চাঁদাবাজি সহ মামলার ভয়ভীতি ও কাজ বন্ধের হুমকি, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নির্বাচিত উন্নয়ন মূলক কাজের অংশ হিসেবে চারতলা ভিত বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ পেয়েছেন নওগাঁর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আকবর-মিলন (জেভি) কন্সট্রাকশন।
সূত্র জানায়, শর্ত অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণে বেইজ ঢালাইয়ে নিচে স্পাইলিং না থাকায় অন্তত ২.৫ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় ০.৮ মাপের বালু দিয়ে ফিলিং করার কথা থাকলেও তা কাদামাটি মিশ্রিত ভরাট (বেলে মাটি সদৃশ) মাটি দিয়ে ফিলিং করে উপরে বালি ছিটে দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশীয় সর্বোচ্চমানের রড, সিমেন্ট, ব্যবহার ও ডিজিটাল মেশিনে ভাঙ্গানো কংক্রিট দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সম্প্রতি নিম্নমানের (তিন নাম্বার) ইট ব্যবহার করা নিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
তবে মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন (স্বপন) বলেন,। ভবনটির নির্মাণের কাজ চললেও ডিজাইন শিট,সিডিউলসহ নির্মাণের কোন তথ্য আজ পর্যন্ত আমাদের দেওয়া হয়নি কর্তৃপক্ষ। কাজে অনিয়মের বিষয়ে বারংবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো কাজ বন্ধের হুমকি প্রদান করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আপেল মাহামুদকে ম্যানেজ করেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠ।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী, ছেকার আহমেদ শিসানের, কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশ্ন ছিল এই জন্যই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন না তেমনটি না এ ব্যাপারে আপনারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এতকিছুর পরেও আমরা কাজ করছি বেশি ঝামেলা হলে কাজ বন্ধ করে দেবো।
নওগাঁ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আপেল মাহমুদ এর কাছে, কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজে কিছু খারাপ ইট ব্যবহারের সত্যতা পেয়েছি সেগুলো পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। তবে কাজের সিডিউল দেখতে চাইলে তিনি টালবাহান করেন। তিনি আরো বলেন, বেইজ ঢালাই কাজের যে অভিযোগ এসেছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।