মোঃ রায়হান আলী,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় শশুর কর্তৃক মারপিটে জামাইসহ দুইজন আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ৭ নং প্রসাদপুর ইউপির এনায়েতপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহতোরা হলেন এনায়েতপুর গ্রামের মুনসুর আলীর, ছেলে সাব্বির হোসেন ও সাব্বিরের মা সামেনা গুরুতর আহত হন । স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উক্ত ঘটনায় সাব্বিরের মা সামেনা বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
জানা যায়, ১বছর পূর্বে রহিদুল ইসলামের মেয়ে রহিমা বিবির বিয়ে হয় এনায়েতপুর গ্রামের মুনসুরের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই জামাই সাব্বির হোসেনকে পছন্দ নয় বলে, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী শাশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ মারধর সহ ভয়ভীতি প্রদান করে আসছিল রহিমা বিবি ও তার বাবা রহিদুল। এতে প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। গত ২৮/০৯/২২ইং তারিখে সাব্বির শ্বশুর বাড়ি গেলে তার শশুর তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করেন। এঘটনায় সাব্বির তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে ০২/১০/২২তাং মান্দা থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং ৭৯।
আহত সাব্বির জানান ১৯/১১/২২ইং শনিবার বৈকালে আমার শশুর, চাচার শশুর শাখা একজন আমাদের বাড়িতে এসে সুযোগ বুঝে মায়ের একটি পাসপোর্ট ব্যংকের চেক ও বিদেশ যাওয়ার জন্য জমানো নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে এতে আমার মা বাজার প্রদান করলে তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত যখন করে মাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও তারা মারপিট করেন। বর্তমানে আমার মা আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্বিরের চাচা শ্বশুর শহিদুল ইসলাম বলেন আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে ভাত না দেওয়ার জন্য তারা মিথ্যে অভিযোগ করে আসছে। আমার ভাইয়ের মেয়েকেও তারা মারধর করেছে বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার (তদন্ত) কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments are closed.
Miyer dis ace