নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে (দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন) নাটোর জেলা প্রতিনিধি ,মোঃ সুজন হোসেন (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার) নাটোর জেলা প্রতিনিধি, মোঃ মাহাবুব হোসেন, সরকারি অনুমতি বেসরকারি আইপি টিভি (রাজধানি টিভি) নাটোর স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ সৈকত হোসেন, এই তিনজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
নাটোর কোর্টে মিথ্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে ।
তবে অভিযুক্ত তিন সাংবাদিক বলেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হয়রানি করার জন্যই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন সাংবাদিকরা বলেন, সেদিন মুনমুন কফি হাউজে স্কুল চলাকালীন স্কুলের ছাত্রদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।সে বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে মুনমুন কফি হাউজের মালিক মুন সেই সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয়ে বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করেন।
সাংবাদিকদের মারার জন্য লাঠি সোটা বের করে । সেখানে সাংবাদিকরা তার এই সকল অশ্লীল কার্যকলাপ গুলো মুঠো ফোনে ধারণ করেন। সেইখানে আরো এক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন, তিনি হলেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন (গ্লোবাল টিভি) নাটোরের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু মুসা। সেই চারজন সাংবাদিক মিলে হীরা মার্কেটের মালিক মুক্তার হোসেনকে বিষয়টি জানায়। মার্কেট মালিক মুক্তার হোসেন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেন নাই। যার ফলে সেই সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহারের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়
সাংবাদিকরা। যার কারনে সাংবাদিকদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বড়াইগ্রাম থানায়, মুনমুন কফি হাউজের মালিক মুন,একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান,
বিষয়টি তদন্ত করেন,তদন্ত শেষে তিনি মুন কে বলেন আপনার আনিত অভিযোগটি মিথ্যা যার কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আমি কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো না।
মুনমুন কফি হাউজের মালিক মুন তিনি সাংবাদিকদের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন টাকা না দিলে তিনি কোর্টে যে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান সাংবাদিকদের। সাংবাদিকরা এই বিষয়ে রাজি না হলে তাদের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, অমর ডি কস্তা, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ অহিদুল হক, বড়াইগ্রাম মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বড়াইগ্রাম প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম মৃধা, বলেন এই মুনমুন কফি হাউজের মালিক মুন সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত। এভাবে বিভিন্ন মানুষদেরকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন । তার সাথে একটি চক্র আছে , যারা তাকে এ সকল বিষয়ে সেল্টার দেন। বড়াইগ্রাম উপজেলার সকল প্রেসক্লাবে সভাপতিরা আরো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বড়াইগ্রাম উপজেলার সকল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানান।