স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়নসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভি.ডব্লিউ.বি) প্রকল্পের ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. রাশেদা রহমানের দায়িত্বে অবহেলায় ১৭ জন ভিজিডি কার্ডধারী বরাদ্দকৃত চাল পাননি। ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণের ৮ দিন পর উপকারভোগীরা কার্ড হাতে পেলেও অতপর তিন মাসের জনপ্রতি বরাদ্দকৃত ৯০ কেজি চাল উপকারভোগীদের ভাগ্যে জুটেনি। এ ঘটনায় ওই ১৭ জন উপকারভোগীর ১৫৩০ কেজি চাল আত্মসাত করেছেন নাকি চাল গায়েব হয়েছে তা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার ২নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। গত ২৮ মার্চ ওই প্রকল্পের তালিকাভুক্ত প্রতি কার্ডধারীদের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসের বরাদ্দ ৯০ কেজি চাল এক সাথে বিতরণ করা হয়। কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বলে বরাদ্দ না পাবার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। কাদিরপুর গ্রামের মোতালেবের বাড়িতে গলে তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৭) বলেন, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর হাতে কার্ড পৌছানো হয়। তবে তিনি কোনো বরাদ্দ পাননি। কার্ডের লেখা রয়েছে গত ২৮ মার্চ তিন মাসের বরাদ্দ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ফাতেমা জানান তিনি কোনো বরাদ্দ পাননি। মোয়াজ্জেমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. তাসলিমা আক্তার বলেন, ১৭টি কার্ড ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে পৌছানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন উপকারভোগীরা বরাদ্দ পেয়েছেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদা রহমান বলেন, মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে মোট ২৭২টি কার্ড বরাদ্দ করা হয়েছে। বেশিরভাগ কার্ড তাঁর কার্যালয়ের লোকজন ইউপিতে গিয়ে বিতরণ করেছে। কিছু কার্ড তাঁর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করেছে উপকারভোগীরা। বাকী ১৭টি কার্ড গত ২৭ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার নিয়ে গেছেন। যদিও এভাবে কার্ড দেওয়ার নিয়ম নেই। তারপরও একজন জনপ্রতিনিধির ফোন পেয়ে তিনি সেগুলো দিতে বাধ্য হয়েছেন। কোনো অনিয়ম হলে উপকারভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখবেন।