স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়নসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ শেষে ভোরের আলো ফুঁটে উঠার সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন সবার প্রিয় পত্রিকার ফেরিওয়ালা কাবিল মিয়া। নান্দাইল বাজার সহ পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও পাড়া মহল্লায় প্রতিটি পাঠকের কাছে পত্রিকা পৌছে দেন তিনি। রৌদ্রে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সাইকেল যোগে এভাবে ছুটে চলছেন কাবিল মিয়া। বৈরী আবহাওয়া কিংবা অসুস্থতা তাকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি। কিছুদিন আগেও তিনি শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হতেই পত্রিকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পাঠকের খোঁজে। পত্রিকার সাথে গড়ে উঠা দীর্ঘদিনের সখ্যতা তিনি ছাড়তে পারেননি। বরং দিন দিন পত্রিকা এবং পত্রিকার পাঠকদের প্রতি সখ্যতা বেড়েই চলছে। সবসময় ঠোটের কোণে হাঁসি লেগে থাকা ৪৯ বছর বয়সী পত্রিকার এই ফেরিওয়ালা সকলের নিকট কাবিল নামে পরিচিত। অথচ তাঁর মূল নাম আব্দুল কাদির। তাঁর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের কাওয়ারগাতী গ্রামে। স্ত্রী সহ ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়েই তাঁর পরিবার। ১৯৮৮ সন থেকে নান্দাইলের সংবাদপত্র এজেন্ট সেতু নিউজ এজেন্সীর পরিচালক লুৎফর রহমানের হাত ধরে নাবালক বয়সেই তিনি পত্রিকার বিক্রির কাজে যোগ দেন। প্রতিদিন হাজার টাকার মতো পত্রিকা বিক্রি করে থাকেন। দিন শেষে লাভ কম হলেও তাই দিয়ে হাসিমুখে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন নামে সংসার। মহামারী করোনার পর থেকে কমেগেছে পত্রিকার পাঠক সংখ্যা। তথ্য প্রযুক্তির আপডেট যোগে পাঠকরা এখন ঘরে বসেই সেলফোনে খবর দেখতে পায়। ফলে আগের মতো তেমন পত্রিকা বিক্রি হয় না বলে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়। গত কিছুদিন পূর্বে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর পাঠকগণ ও শুভাকাঙ্খী সাংবাদিকগণ প্রিয় মুখ কাবিল মিয়ার পাশে দাড়িয়েছেন। তাদের ভালোবাসায় আরও উৎসাহী হয়ে সুস্থতার পর এখনও খুঁেজ বেড়ান সেমস্ত ব্যক্তিদের যাদের পত্রিকা চাই। তাই পত্রিকা নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন পাঠকদের দুয়ারে দুয়ারে। এ বিষয়ে কাবিল মিয়া বলেন, আগের মতো তেমন শক্তিসামর্থ্য নেই। তবু সকলের ভালোবাসা ও দোয়ায় এখনও বেচেঁ আছি। তবে পত্রিকা বিক্রি করে এখন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তারপরও এটি আমার প্রিয় পেশা। এ ব্যাপারে নান্দাইল সেতু নিউজ এজেন্সীর মালিক লুৎফর রহমান জানান, কাবিল মিয়া খুব ভালো লোক এবং সে শুধু আমার নয়, সে সকলের প্রিয়। আমি চেষ্টা করি তার সুখে দুখে পাশে থাকার। এ বিষয়ে প্রেসক্লাব নান্দাইলের সভাপতি মো. হান্নান মাহমুদ বলেন, পত্রিকার ফেরিওয়ালারা পত্রিকার কাঠামোর একটা অংশ। তাদের কারনেই পত্রিকাগুলো পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠে। এসমস্ত পত্রিকার ফেরিওয়ালাদের পত্রিকার কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বোধ করছি।
মোঃ শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল
ময়মনসিংহ।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।