পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
শিক্ষা নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহেরের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, কাজ না করেও বিল উত্তোলন, এবং পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্ত সত্ত্বেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়াই বদলির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে, এবং পেয়েছেন চাকরিতে পদোন্নতি। পঞ্চগড় শিক্ষা নির্বাহী প্রর্কৌশলীর আবু তাহেরর বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ উঠেছে। নামে বেনামে সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আবু তাহের রংপুর মহানগরী মুন্সিপাড়ায় মাদ্রাসা রোডে সাত কোটি মূল্যের জমি ক্রয় করেন স্ত্রীর নামে, তাতে বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশন পাঁচতলার কাজ সম্পন্ন করেন। শালবন মৌজায় ২ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করে সেখানে দ্বিতল ভবন নির্মাণ, গ্রামের বাড়ির এলাকায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬২ বিঘা জমি ক্রয়, ডোমার কলেজ রোড এলাকাও রয়েছে তার দুটি বাড়ি। এবং ডোমার শহরে প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে আরো সাড়ে ৬ শতক জমি যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। রয়েছে নিজের একটি বিলাশ বহুল গাড়ি ঢাকা মেট্রো (গ ৪৩-৯১০৩) লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সন্তান কে বেসরকারি মেডিকেল এ পড়িয়ে বানিয়েছেন চিকিৎসক ,এই নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া কাজ না করেই বিল দেয়া সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ক্ষমতার অপব্যবহার, সহ অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট জানান পঞ্চগড় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের ২০২৩ সালের ৬ জুন কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে না না অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। ২০সেপ্টেম্বর ২০২৪ দৈনিক জাতীয় পত্রিকা বনিক বার্তায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয় কাজ শুরুর আগেই ৯৫ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন সংস্কার ও সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের জন্য ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ১৩ই আগস্ট নির্মাণ কাজের সময় শেষ হয়েছে। তবে এখনো শুরু হয়নি গ্যারেজ নির্মাণ। এরই মধ্যে ৯৫% বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। ৪ অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক বনিক বার্তা প্রকাশিত শিরোনাম পঞ্চগড়ে মাটির বদলে সড়কে বালি ভরাট পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে মাটি ভরাটের জন্য চলিত বছর দরপত্র আহবান করা হয় ১৬ লাখ হাজার ৫৭৫ টাকা কাজটি পায় এসএস এন্টারপ্রাইজ। কার্যাদেশে মাটি উল্লেখ থাকলেও সড়কটি ভরাট করা হয়েছে হয়েছে বালি দিয়ে।গত জুনে শুরু হওয়া মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ৭৫% বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। ৬ অক্টোবর ২০২৪ অনলাইন পোর্টাল দৈনিক ঝড় প্রকাশিত শিরোনাম পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর যেন অনিয়মের আয়নঘর। পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস কার্যালয়ে ভবন নির্মাণে সেখানে স্টিল শার্টার এর ধরা হয়েছে।সেখানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাস ও কাঠের শাটারিং দিয়েছে। আবার বিল দেয়ার সময় স্টিল শাটারিং এর বিল দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী টাকা ছাড়া আর কিছু চেনে না। পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দশতলা ভবন নির্মাণ কাজটি সরকারি রেট আমাকে হান্নান শেখ ও আবু তোয়াবুর রহমান ও প্রমিলকে দিয়ে দেয়া হয় আমরা যখন শিডিউল ড্রপ করি আমাদের সবার রেট এক। ঠিকাদার প্রমিল প্রকৌশলী আবু তাহের কে ১৫% দিয়ে ১৩ কোটির কাজটি হাতিয়ে নেয়। শুধু একটি কাজে প্রকৌশলী আবু তাহের দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া ২০২৩/ ২৪ ও ২০২৪ /২৫ অর্থ বছরে পঞ্চগড় জেলার ১ আসনের অধীনে ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে আসবাবপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ কাজে তার পছন্দের ঠিকাদার মেসার্স নন্দিতা কনস্ট্রাকশন ও মেসাস মুস্কান ট্রেডার্স ১৬ টি কাজের মধ্যে ১১ টি কাজ এই দুইজন ব্যক্তিকে দিয়ে দেন আবু তাহের। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য উপকরণ ক্রয়ের ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।এই শিক্ষা প্রকৌশলীর দুর্নীতির একাধিক নিউজ প্রকাশ পেলেও পেয়েছেন তিনি পদোন্নতি। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ দৈনিক শিক্ষা ডটকম প্রকাশিত নিউজে দেখা জায় প্রকৌশলীর দুর্নীতি সত্যতা পেলেও শুধু বদলি করেই ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর সার্কেলের নীলফামারী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কাজ না করেই প্রায় ১০ কোটি টাকার বিল প্রদান এবং নিজের দুই ভাইকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ১৯৯৬ সাল থেকে সততা এবং সুনামের সঙ্গে চাকরি করে আসছি। এতদিনের পেশাগত জীবনে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা বদনামের ঘটনা নেই। কিন্তু সম্প্রতি একটি অসৎ চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। নিজের ভাইয়ের কাজের বিষয় বলেন সরকারের স্বার্থে এবং জনকল্যাণে ঠিকাদারদের ফেলে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজগুলো আমি নিজের উদ্যোগে সম্পন্ন করেছি। এ কাজগুলো সম্পূর্ণ বিনালাভে, ভাইদের দিয়ে করিয়েছি,এটা কি আমি অপরাধ করেছি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত হয়েছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রংপুর ও ডোমারের সম্পত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার শ্বশুরের আন্তরিক সহযোগিতা ও লোনের সহায়তায় আমি এই সম্পত্তিগুলো অর্জন করেছি। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বলে দাবি করেন।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।