জয়ন্ত সাহা, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
নারীর অর্জন, আর অগ্রযাত্রার প্রতীক এই নারী দিবস। মানুষ হিসেবে একজন নারী পরিপূর্ণ অধিকারের দাবিতে সুদীর্ঘকাল যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ পালিত হয় নারী দিবস।
আলাদা করে নারী দিবস উৎযাপন করার অবকাশ আমাদের নেই৷ আমাদের নারীদের জন্য প্রতিটা দিন’ই সফলতার দিন, এগিয়ে যাওয়ার দিন, স্বপ্ন দেখার দিন & স্বপ্ন পূরণের দিন৷
সবাই বলে নারীর নিজস্ব নাই কিছু;
আমি ত দেখি দুনিয়া চলে নারীর পিছু পিছু!
নারীর অবদান ছাড়া পৃথিবীর সবকিছু অসম্পূর্ণ, অস্পষ্ট, অসমাপ্ত; অপূর্ণাঙ্গ; অপূর্ণ! জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন, নারী সৃষ্টির আধার। যুগে যুগে নারীরা সময়ের মাইলফলক হিসেবে অবদান রেখে চলেছেন।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতায় অবৈষম্যমূলক স্তবকটি পৃথিবীর সব নারীর জন্য এক অনুপ্রেরণার পাথেয়।
নারীর প্রাণ সঞ্চার করার ক্ষমতা রয়েছে, মুগ্ধ করার মতো রূপ লাবণ্য রয়েছে। নারীর সৌন্দর্য প্রকাশে চোখে কাজল পড়তে হয় না, কপালে টিপ, খোপায় বেলি, শিউলি বা বকুলের মালা পড়তে হয় না। নারী সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। নারী অসাধারণ চিন্ময়ী, বিনম্র, মনোনয়ন, মনোরম, আশ্চর্যজনক , রহস্যময়, রোমাঞ্চকর, নিখুঁত, অতুলনীয়!
নারী অনুপ্রেরণার উৎস। নারীর গর্ভ থেকে এবং একজন নারীর হাত ধরেই বেড়ে ওঠেন, …. মুহাম্মদ (সা:), শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর,আইজাক নিউটন, আলবার্ট আইনস্টাইন ইত্যাদি মহান ব্যক্তিবর্গ।
নারী জীবনের আলো।
নারী জ্ঞানের আধার।
নারী শক্তির প্রতিক।
নারী সৃষ্টির কারিগর।
নারীর অবদানে আমরা ঋনি চিরকাল।
নারী ছাড়া এ জগৎ সংসার সব’ই অচল।
লেখকঃ ফাউজিয়া আফিফা শেফা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।