বদরুদ্দোজা প্রধান, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার ৫৭ হাজার কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, জরায়ুমুখ ক্যান্সার নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এক ডোজ টিকাই এ রোগ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। টিকাটি বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এবার পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৫৭ হাজার কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।
।সরকার কিশোরীদের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাব্যতীত দেশের সাতটি বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুলের বাইরে থাকা কিশোরীরাও এ টিকা বিনামূল্যে পাবে।এই এক ডোজের টিকাদান কর্মসূচি ১৮ দিন ধরে চলবে। এর আওতায় সারাদেশে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
([https://vaxepi.govbd/registrationগিয়ে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও বিশেষভাবে তালিকাভুক্ত করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এবং একদিনেই দুই লাখেরও বেশি কিশোরী নিবন্ধিত হয়েছে।
সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির অধীনে ৭৯ লাখ ৪৭৮ হাজার টিকা মজুত আছে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর এ কর্মসূচির আওতায় ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৩ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে ৭৫ শতাংশ লক্ষ্য অর্জিত হয়।
বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১১ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, এবং প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার নারী এই রোগে মারা যান। দেশে নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর কারণ হলো জরায়ুমুখ ক্যান্সার। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।