বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -২, আহত ৩ সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও দেখা মিলল রাসেলস্ ভাইপার সাপের সাতক্ষীরা সদরে সুফল ভোগী নারীদের হাঁস মুরগি পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আস্থা প্রকল্পের পরামর্শ সভা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলফা কারাগারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে সাতক্ষীরার যুবক নিহত খেদাপাড়া বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দিরের যজ্ঞানুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য চট্টগ্রামে ট্রাক-টেম্পোর সংঘর্ষে নিহত ২

পশুর হাটে গরুর আমদানী প্রচুর লোকসানের মুখে গরু বিক্রেতা।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২
  • ১১০ বার পঠিত

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে পশুর হাট গুলোতে প্রচুর গরুর আমদানী হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী ক্রেতা নেই। দামও কমে গেছে অনেক। উপজেলার বোয়ালিয়া,গ্যাস লাইন, জনতার হাট,বড়হর, কয়ড়া, সলঙ্গা ও নওগাঁ হাট ৭/৮ দিনর ব্যবধানে গরুর দাম পড়ে গেছে অনেক। বড় গরুর প্রতিটির দাম ২৫ থক ৩০ হাজার টাকা, মাঝারী গরুর দাম প্রতিটি ১৫ থক ২০ হাজার এবং ছােট গরুর দাম কমেছে ৮ থক ১০ হাজার টাকা। ফলে গরুর খামারীরা ও অসাধারণ বিক্রেতারা এবার কোরবানীর ঈদ ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে।

উল্লাপাড়ার খালিয়াপাড়া গ্রামের খামারী আব্দুল খালেক জানান, এবছর ৯টি গরু প্রতিপালন করেছেন তিনি । গত ৭দিনে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লােকসান দিয়ে ৪টি বিক্রি করছেন। বাকী রয়েছে ৫টি। গরুগুলাে বিক্রি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ছেন বলে খালেক।

উল্লাপাড়ার পূর্বদেলুয়া গ্রামের খামারী সামছুল ইসলাম বলেন, পর পর তিনটি হাট তার ১৫টি ষাঁড় নিয়ে তিনি বিক্রি করতে পারেননি। অবশেষে ট্রাক ভাড়া করে গরুগুলাে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন সামছুল।

উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের গরুর খামারী আব্দুল আজিজ জানান, এ বছর তিনি ৫টি গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর হাটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। দুই সপ্তাহ আগে তার গরুগুলোর দাম গড়ে দেড় থেকে দুইলাখ উঠেছিল । তিনি ভালো লাভের জন্য অপেক্ষা করে ঈদের আগের হাটগুলোতে আবার গরু নিয়ে এসেছিলেন। এসব গরুর দাম বিগত হাটগুলাের তুলনায় ১ লাখ টাকা কম বলা হচ্ছে। বর্তমান গরু বিক্রি নিয়ে তিনি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। তাকে এখন লোকসান গুনতে হবে।

জনতা হাটের ইজারাদার রায়হান আলী জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষের অর্থনৈতিক কাজ ছিল না। ফলে তাদের কােরবানীর পশু কেনার প্রয়ােজনীয় টাকা নেই। একারণে হাটে গিয়ে ক্রেতারা নির্ধারিত বাজেটের মধ্য গরু কিনতে পারছেন না। ফলে গরুর দাম কমে গেছে।

এদিকে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় যােগাযােগ করলে ভিএসএ আব্দুল হালিম জানান, এ বছর উল্লাপাড়ায় কােরবানীর পশুর চাহিদা গরু ও খাঁসি মিলে মােট ৪৬ হাজার। কােরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫০ হাজার পশু।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।