মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ চৌধুরী, রাউজান :
বেওয়ারিশ ও অসহায় মানুষের আশার আলো -বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন এই ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মানবিক শওকত হোসেন পিপিএম মানবিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন পাঠ্য বইয়ের মধ্যে মানবিকতার অধ্যায় থাকতে হবে। বক্তব্যর শুরুতে তিনি আমাদের প্রিয় নবী মানবতার কাণ্ডারি হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ) এর মানবিকতার আর্দশ তুলে ধরেন তিনি বলেন আমরা মানবতা দেখেছি শিখেছি জেনেছি বুঝেছি এবং করছি পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে এই পর্যন্ত আমাদের লিডার একজনই তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমার আপনার লিডার আপনি মানলেও মানতে হবে না মানলেও মানতে হবে। কারণ এটাই চির সত্য ওনার আর্দশ থেকে দেখে ওনার কার্যক্রম কে অনুভব করে ওনার কার্যক্রমের ওছিলায় মানবতা নামক শব্দটি এখনো বেঁচে আছে। যদিও দেশের পরিক্রমায় আমার লিডার আপনার লিডার হাজার হাজার লিডারের অর্ধেক লিডার চোরে ভরা।আমি আপনি স্বার্থ ছাড়া কিছু বুঝি না কিন্তুু আমাদের লিডার প্রিয় লিডার স্বার্থ চিনে নাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ) ওনাকেই অনুকরণ করেই পৃথিবীর সকল ভালো কাজ হয়। এবং আমারও মনে প্রাণে ওনাকে অনুকরণ করি কিন্তু ওনার নখ তো দূরের কথা ওনার পায়ের ধূলা পর্যন্ত আমার পৌঁছাতে পারব না। তারপরও আমরা আশাবাদী এই ভালো কাজ গুলোর বিনময়ে মৃত্যুর পরবর্তী জিবনে মহান আল্লাহ তায়ালার ওছিলায় আমাদের দিকে একটু মুচকি হাসঁবেন সেই আশায় আমাদের নিঃস্বার্থ ভাবে এই মানবিক কাজ গুলো করে যাওয়া। তিনি আরো বলেন সমালোচনা তারই হয় যে কাজ করে, সমালোচনা তার হয় না যে ঘরে বসে গরম ভাত খায়। আপনি নিজের খাবার যদি আরেক জনকে বিলেয়ে দেন তাহলে আপনার খাবার উপর ওয়ালার মাধ্যমে অটোমেটিকলি ব্যাবস্থা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। মানুষের বর্তমান সময়ে জাতীয়এবং বেসরকারি নীতি নির্ধারক কর্তা ব্যাক্তিদের বহু বড় বড় দূর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে, কিন্তু ওনারা চাইলে এই দূর্নীতিটা কে বাদ দিয়ে ভালো কিছু করতে পারতো কিন্তু ওনারা সেটা করে নাই। না করার কারণেই আজ সমাজে রাষ্ট্রে মানবতার যথাযথ চর্চা হচ্ছে না। তিনি বলেন আজ আমি এখানে বক্তিতা দিচ্ছি এটা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে বস্তা ভরে বই নিয়ে আসা কারণ উদ্দেশ্য একটায় এটা স্কলারশিপ এর পিএসডি করবে, বিসিএস পড়বে
সর্বোচ্চ শিক্ষায় আরোহণ করবে, কারণ বড় বড় গাড়িতে চড়বে, দশ তালা বিল্ডিং করবে, গোটা একটা জেলার মালিক হবে। যদি প্রতিযোগিতা এইরকম হতো মানবিকতায় কে কার থেকে বড়, কে কার জিন্দিগি মানবতার কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছে, কে কার সম্পদ মানবতার কাজে বিলিন করে দিয়েছে তাকেই এম্পিত্ত্ব- মন্ত্রিত দাও তাহলে দেশটা আরো এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তিনি ভালো কাজের এক উদাহারণ তুলে ধরলেন বললেন তিনি গত কিছু দিন আগে ঠিক আছরের সময় কাছাকাছি আজান হবে মসজিদে মুসলিম আমার মুসলিম ভাইয়েরা যাবে নামাজের দিকে যাচ্ছে।উদ্দেশ্য আল্লাহ কে রাজিখুশি করার জন্য আর অন্যদিকে সনাতন ধর্মের ভাইয়া তাদের ধর্মীয় রণযাত্রা পালন করছে। ঠিক এমন সময় চট্টগ্রামে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে এক সনাতন ধর্মের ভাই নাম তার কাজন শীল অল্প টাকায় চুলে কাটে সে, ভোর ছয়টার সময়ে মারা গেল তার স্ত্রী কিন্তু টাকার অভাবে আইসিউ থেকে বের করে আনতে পারছেনা। বিকাল ৪টা পর্যন্ত আইসিউর সামনে বেঞ্চে বসে বসে কাঁদছে লাশ বের করার ক্ষমতা নাই। এদিকে বাসায় তার ছোট্ট এক ছেলে মেয়ে সকাল থেকে কাঁদছে কখন তার মায়ের লাশ বাসায় যাবে। তারা সৃষ্টকার্তার নিকট প্রার্থনা করছে। অথচ,দেখুন সেই ভবনের চারপাশে বিসিএস ক্যাডার নাই? তারা আমাদের মাথার তাজ সর্বোচ্চ টা দিয়ে লেখাপড়া করেছে তারা কিন্তু মন কারো গলে নাই। মানবতা মহানুভতা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
এর ছিল। কিন্তুু এখন বইয়ে কলমে আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠা বাস্তাবায়নে নাই।এই বাস্তবায়ন করার আপনাদের এই শিক্ষা প্রয়োজন । মানবতার শিক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা চাই সরকারী ভাবে এই দেশের পাঠ্য বইয়ে মানবিকতার একটি অধ্যায় রাখতে হবে কারণ এটা থেকে যাতে মানুষ এই শিক্ষা টা নিতে পারে। তিনি বলেন ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, মহান আল্লাহ সাথে ছিলেন। আমি ঐ কাজল শীল কাছে জিঙ্গেস করলাম আপনার কাছে কতটাকা আছে, তখন সে বললো আমার কাছে আছে অল্প যা গ্রামবাসী থেকে চাঁদা করে আনা হলো। কিন্ত এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দেওয়া ছাড়া লাশ বের করা যাবে না, পরে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে তার যাবতীয় খরচ দিয়ে লাশ পৌঁছে দিলাম। চেষ্টা করেছি আল্লাহ সম্ভব করেছে। সব কাজ হবে আল্লাহর জন্য তাহলে ইনশাল্লাহ সব কাজ সফল হবে।