রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাগৃতি কার্যকরী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ শপথ গ্রহণ ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

পুলিশ-বিএনপি ব্যাপক সংঘর্ষ

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭০ বার পঠিত

মুন্নি আক্তার,নিজস্ব প্রতিবেদক :

কাজীর দেউড়ি থেকে নাসিমন ভবন এলাকা রণক্ষেত্র, পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন।

গাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর ৮ পুলিশসহ আহত ৩৩, আটক ১৬, তিন মামলার প্রস্তুতি,

নগরের কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের ৮ জন সদস্য এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে গত রাত পৌনে ১২ টায় সময় সংলাপ জানায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

সংঘর্ষ চলাকালে কাজীর দেউড়ি থেকে নাসিমন ভবন পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। ভাঙচুর করে সিসিটিভি, পুলিশ সার্ভিস সেন্টার এবং আশপাশের বিভিন্ন দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজীর দেউড়ি থেকে আলমাস সিনেমা হল মোড়, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে বেশকিছু গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সড়কের এক পাশ বন্ধ করে সমাবেশ চলার সময় অন্যপাশে দুই দিকের গাড়ি চলাচল করায় আগে থেকেই যানজট লেগেছিল। সংঘর্ষের সময় সড়কে আটকে থাকা গাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বিএনপি কর্মীদের ভাংচুরের কবলে পড়েছে চিকিৎসক ও গণমাধ্যম কর্মীদের গাড়িও।

পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, ঘটনায় আহত ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব বড়ুয়া, জলৎকার চাকমা, ওসমান গনি, অজয় চাকমা ও লিনা আকতারকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, বিপ্লব বড়ুয়ার মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। জানা গেছে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল নগর বিএনপির। নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহম্মদ সড়কে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ৩টার দিকে কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে নগর যুবদলের একটি মিছিল সমাবেশের উদ্দেশে রাওয়ানা হয়। মোড় পার হয়ে সামান্য আসতেই খোয়াজা হোটেলের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। বাধা পেরিয়ে মিছিলের অগ্রভাগ চলে গেলেও পেছনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। এর জের ধরেই সংঘর্ষ হয়।

যুবদলের মিছিল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়নি বলে দাবি করেছেন নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তি।তিনি বলেন, কাজীর দেউড়ি থেকে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে আমরা সমাবেশে র দিকে চলে যাচ্ছিলাম। খোয়াজা হোটেলের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা চলে আসি এবং সমাবেশে বক্তব্যও দিই। আমরা চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মী এবং সাধারণ লোকজনকেও বাধা দেয়। তখন তাদের উপর বিনা কারণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তিনি বলেন, কাজীর দেউড়ি মোড় পার হলেই কিন্তু নূর আহমদ সড়কে সমাবেশস্থল। সেখানে গাড়িও চলছে না। তবু এ সামান্য পথে মিছিল নিয়ে যেতে সমস্যা কোথায়। যারা সমাবেশে যাচ্ছে তারা একসঙ্গে মিছিল নিয়েই তো যায়। মিছিল নিয়ে আসতে পারব না সেটা কিন্তু পুলিশ আগে বলেনি। মিটিংয়ের অনুমতি দিল তারপরও ঢুকতে বাধা দিবে কেন। এদিকে পুলিশের দাবি, কাজীর দেউড়ি মোড়ে একটি মিছিল আসার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা শিশু পার্কের দিকে চলে যান। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি ছিল বিএনপির। তবে তারা সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করেছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশের ৭/৮ জন সদস্য আহত হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির সময়ের সংলাপ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশের উপর হামলা করেছে। যখন মিছিল আসে তখন টিআই বিপ্লব বড়ুয়া তাদের যাওয়ার পথ করে দেয়। তখন আকস্মিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রথমে সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এরপর বিপ্লব বড়ুয়ার উপর হামলা করে। ওসি বলেন, সামগ্রিক ঘটনায় তিনটা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। টিআই বিপ্লব বড়ুয়ার উপর হামলায় একটি, বিস্ফোরক আইনে একটি এবং সন্ত্রাস দমন আইনে অপর মামলা দায়ের হবে। ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। এদিকে নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি সময়ের সংলাপকে বলেন, পুলিশ এমনটা বলবেই।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।