শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেবহাটা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কতৃর্ক শ্বশুড়ীকে বেধড়ক মারপিট। ঘটনাটি ঘটেছে দেবহাটা উপজেলার ঝায়ামারী গ্রামে। এঘটনায় হাফিজুল ইসলাম, পিং—আব্দুস সবুর সরদার, গ্রাম—ঝায়ামারী, থানা—দেবহাটা, জেলা—সাতক্ষীরা। শেখ হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১নং নজরুল ইসলাম গাজী (৩৫), পিং—আমির আলী গাজী, থানা—দেবহাটা, জেলা—সাতক্ষীরা। প্রায় ১২ বছর পূর্বে আসামীর সহিত আমার ছেোট বোন আসমা খাতুন(২৮) এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুইটি সন্তান জন্মগ্রহন করে। পারিবারিক কলহের জের ধরিয়া প্রায় আসামী আমার বোন কে মারপিট করিতো। প্রায় ২ মাস পূর্বে আসামী আমার বোন কে মারপিট করিয়া তাহার বাড়ি হইতে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হইয়া আমার বোন তাহার দুই সন্তান নিয়া আমাদের বাড়িতে আসিয়া আশ্রয় গ্রহন করে। আসামী আমার বোন বা বোনের সন্তানদের খোজ খবর নেয়না। পারিবারি কলহের জের ধরে ইং—০৩/০৫/২০২৩ তারিখে সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার বোন আসমা খাতুন ও মাতা জামিলা খাতুন (৬৫)দ্বয় আমার বাড়ি হইতে পিতার বাড়িতে যাওয়ার সময় ঝায়ামারী সাকিনস্থ আমার বড় ভাই আমিনুর ইসলাম (৫০) এর বসত বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে পৌছালে পূর্বে হইতে অবস্থান করিয়া আসামী লাল রংগের মটরসাইকেলে পূর্বে বাঁধিয়ে রাখা লোহার পাইপ নিয়া আমার বোন ও মাতার গতিরোধ করিয়া অনাকাঙ্খিত ভাবে আমার বোন আসমা খাতুন এর বাম পায়ের হাটুর নিচে স্বজোরে আঘাগ করিয়া গুরুত্বর হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আমার বোন রাস্তার উপর বসে পড়লে আসামী লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বোনের মাথা লক্ষ করিয়া স্বজোরে আঘাত করলে উক্ত আঘাত আমার বোন হাত দিয়া ঠেকালে আমার বোনের ডান হাতের কব্জি ও কনুইয়ের মাঝ বরাবর লাগিয়া গুরুত্বর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। আমার মাতা মোছাঃ জামেলা খাতুন ঠেকাতে গেলে আসামী লোহার রড দিয়া আমার মাকেও মেরে হাড় ভাঙ্গা জখম করে এবং মাজার মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গিয়া যায়। স্থানীয়রা অনেকেই আসিয়া তাদের উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এব্যাপারে শেখ হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। মামলা নং—০৭, তাং—০৪/০৫/২০২৩ইং।