শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মুছা, বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি শাহ আলম,সম্পাদক এমদাদুল বোয়ালখালীতে পলিথিন মজুদ রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা  ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষিকার উপর হামলা বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালি ও আলোচনা সভা মধ্যনগরে কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  সাফ জয়ী তিন ফুটবলারকে সাতক্ষীরায় লাল গণসংবর্ধনা  সালথায় স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষকের বকশীগঞ্জে নিলাখিয়া বিএনপি নেতাকে স্বপদে বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  চারঘাটের সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় 

পেঁয়াজের দাম ভালো না পাওয়ায় হতাশ বিরামপুরের চাষিরা

মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২১৪ বার পঠিত

 

মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

বাজারে উঠেছে আগাম জাতের বারি পেঁয়াজ। চারা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে বারি জাতের পেঁয়াজ চাষ করে গত কয়েক বছর লাভ পেলেও এবার দাম কম হওয়ায় হতাশ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার চাষিরা। এ অঞ্চলে এটি ‘বারি’ পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত।

চলতি বছর প্রতিমণ বারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে। গত বছর এর দাম ছিল ১ হাজার ২শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা।

বিরামপুর নতুন বাজারে কয়েকজন চাষির সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর প্রতি বিঘায় বারি পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়। ফলে বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩২ হাজার টাকার।

এমন পরিস্থিতিতে তাদের বেশি দামে বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে হচ্ছে।

বারি পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন হতাশ বিরামপুরের চাষিরা তখন চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

পেঁয়াজ চাষি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘গত বছর ঘরে বীজ ছিল। এ বছর বীজ কিনতে হয়েছে।’

তিনি জানান, গত বছর এক কেজি বীজ ৪ হাজার টাকার মধ্যে কেনা গেলেও এ বছর স্থানীয় দেশী জাতের বীজ কিনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা কেজি দরে। হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ হাজার টাকার বেশি।

তার মতে, এতো টাকা দিয়ে বীজ কিনে পেঁয়াজ চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। বীজের চড়া দামের পাশাপাশি সেচ, সার, কীটনাশকের দামও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি হচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, এ উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের চাষ। এবার উপজেলায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজের বাজার দর বৃদ্ধি পেলে চাষিরা লাভবান হবেন। অনুকুল আবহাওয়া থাকায় এবছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে এবং প্রতিটি জমিতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।