শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বোয়ালখালীতে পলিথিন মজুদ রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা  ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষিকার উপর হামলা বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালি ও আলোচনা সভা মধ্যনগরে কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  সাফ জয়ী তিন ফুটবলারকে সাতক্ষীরায় লাল গণসংবর্ধনা  সালথায় স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষকের বকশীগঞ্জে নিলাখিয়া বিএনপি নেতাকে স্বপদে বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  চারঘাটের সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়  নওগাঁ মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকার উপর হামলা 

প্রচন্ড রোদ ঘামে ভেজা টাকা দিলেন রিকশাচালক মনির

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৬২ বার পঠিত

 

নির্বাহী সম্পাদক আজহারুল ইসলামঃ

সমকাল অফিস থেকে বের হয়ে চ্যানেল আই ভবনে যাচ্ছিলাম। শত শত গাড়ি আটকে আছে সড়কে। ফুটপাতেও ভীড়, এরই মধ্যে পেছন থেকে আমার নাম ধরে কেউ একজন ডাক দিলেন। বুকটা যেনো কেমন করে উঠলো! এখানে তো কেউ আমাকে চেনার কথা না। ডাকটি কোথাও বাঁধাপ্রাপ্ত না হয়ে সরাসরি আমার কানে এসে ধাক্কা লাগে। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রিকশার হ্যান্ডেল হাতে মনির হোসেন পান খাচ্ছেন। কাছে এগিয়ে যেতেই জড়িয়ে ধরলেন মনির। তার শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল, মনিরের ঘামের গন্ধ নাকে আসার সঙ্গে সঙ্গে আব্বার কথা মনে পড়ে গেলো আব্বার শরীরে ঘামের গন্ধও মনিরের ঘামের মতোই ছিল।

মনিরকে আমি চিনি, আমাদের পাশের গ্রামের মানুষ। তবে নামটা মনে করতে পারছিলাম না। তিনি নিজে থেকেই তার পরিচয় দিতে শুরু করলেন। এবার আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম। বুকে বুক মিলিয়ে পুনরায় তার ঘামের গন্ধ নিলাম। বাড়ি থেকে গিয়ে ঢাকায় রিকশা চালান তিনি। আমার প্রতি তার দরদ ও ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়ছিলাম।

মনিরের সঙ্গে থাকা টাকাগুলো ঘামে ভিজে গেছে। ঘামে ভেজা কিছু টাকা বের করে আমাকে বললেন, এই নেও কিছু খাইয়া যাও’। আমার চোখ ভিজে উঠলো আহা দরদ ভালোবাসা! আব্বাও যখন বুক পকেট থেকে বের করে আমাকে টাকা দিতেন সে টাকাও এমন ভেজা থাকতো। খুব বিনয়ের সঙ্গে মনির ভাইয়ের টাকাটা হাতে নিলাম ঠিকই, কিন্তু আবার তাকেই সে টাকা ফিরিয়ে দিতে আমার বিবেক বাধ্য করলো।

মনির ভাই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন! ছলছল করে উঠছিল তার চোখ। এবার আমার পকেট থেকে বের করে মনির ভাইকে কিছু। কিন্তু নিতে চাইলেন না, মনির তার সমস্ত বিনয় ঢেলে দিয়ে ‘ না ‘ করছিলেন। খুব জোর করে তার হাতে দিলাম। যাক সে কথা। তার সঙ্গে আরও অনেক কথা হয় আমার। কেমন এক মায়ায় জড়িয়ে পড়ি।

বিদায় বেলায় মনির ভাই বললেন  দেইখ্যা যাইয়ো কিন্তু ভাই! বাড়িতে আইলে দেহা করুমনি । আমি বারবার তার দিকে ফিরে তাকাই আর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন অপলক দৃষ্টিতে  রিকশার হ্যান্ডেল তখনও তার হাতে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।