শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোড পুননির্মাণে সড়ক অবরোধে প্রস্তুতি সভা  চট্টগ্রামে সরকারি কলেজ অধ্যাপককে পিটালেন ছাত্রলীগ নেতা মোংলায় ব্র্যাকের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সমন্বয় সভা চারঘাটে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সমাপনী ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী শরীর ঠিক রাখতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবেঃ স্বাস্থ্য পরিচালক রামপালে সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আ’লীগের সংবাদ সম্মেলন  শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন এমপি আতাউল হক দোলন  বিসিক জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী নারী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য মজুদ আছে সাড়ে ৮ লাখ পশু

প্রতিবন্ধীকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ  শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে 

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫৫ বার পঠিত

 

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ

হাটহাজারী পৌরসভায় প্রতিবন্ধী যুবক শুক্কুরের মা হোছনে আরার কাছে থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত শ্রমিক লীগ নেতা কামাল ও খোরশেদ নামেক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত কামাল ও খোরশেদ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কামাল পৌরসভার আদর্শ গ্রামের মৃত বজল আহমেদর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের জব্বারহাট এলাকার বৃদ্ধা হোচনে আরা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে শুক্কুর ভিক্ষা ও বয়স্ক ভাতা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘর না থাকায় তিনি পৌরবস্তিতে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন।প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হচ্ছে হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামে এমন খবর খোরশেদ হোছনে আরার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর খোরশেদ বৃদ্ধা হোছনে আরাকে ঘর দেওয়ার কথা বলে কামালের কাছে নিয়ে যান। কামাল ঘর দেয়ার কথা বলে বৃদ্ধা হোছনে আরার কাছ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টাকা নেন। এরপর ঘর পেতে চট্টগ্রাম কোটবিল্ডিংয়ে স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন। তারপর বছর পেরিয়ে গেলেও ঘরও পায়নি এবং টাকাও ফেরত পায়নি। বরং উল্টো টাকার কথা বললেই মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন কামাল।

অবশেষে আশ্রয়ণের ঘর না পেয়ে এবং টাকা চাইতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার আশংকায় আবারো গত ১৭ এপ্রিল বৃদ্ধা হোছনে আরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।


ইতিমধ্যে আরও দুইবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা মেলেনি ভুক্তভোগী পরিবারের।ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার ছত্রছায়া বেপরোয়া হয়ে গেছে এ কথিত নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি ভূমিহীন অসহায় পরিবার বলেন, আদর্শ গ্রামের কামালের মা এর সরকারী বরাদ্ধ প্লট রয়েছে। সে প্লটটি কয়েক বছর আগে বিপুল অর্থ দিয়ে বিক্রি করে এখন ভাড়া ঘরে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, আদর্শ গ্রামে কোন জায়গা বিক্রি করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কবরস্থানের জায়গা দিলে সে কবরস্থানের নামে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি সমবায় সমিতির নামে লিজ নেয়া একটি পুকুরের প্রায় ৯বছর মাছ বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকার বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি গতদুই দশক আগেও নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলায় প্রায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন এ কথিত নেতা। এছাড়াও গত কয়েক বছর আগে গাছ কাটার মামলায় জেলখেটে আসেন কামাল।

অভিযোগকারী হোচনে আরা এবং তার প্রতিবন্ধী ছেলে শুক্কুর জানান, কামাল ও খোরশেদ আমাদের কে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা চাই। তখন আমাদের কোন ঘর বাড়ি নেই বলে সুদের উপর ২০০০০ টাকা ঋণ নিই এবং আমার (শুক্কুর) ভিক্ষার টাকা ছিলো ২৫০০ টাকাসহ মোট ২২৫০০ টাকা দিই। কিন্তু এখন সুদের টাকা আর আসল টাকা মিলে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো হয়েছে। যেখানে আমাদের দুবেলা দুমুঠো আহার খেতে কষ্ট হচ্ছে, সেখানে কিভাবে এতোগুলা টাকা শোধ করব তা বুঝতে পারছি না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং প্রয়োজন আদালতে গিয়েও বিচার দেবো। আমরা অসহায় তাই আল্লাহর কাছে ছাড়া আর কারো কাছে বিচার পাবো বলে আশাকরি না। এখন অভিযোগ আর টাকা চাওয়ায় আমাকে এবং আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নেয়ার টাকা লেনদেনের বিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন, তারা (প্রতিবন্ধী যুবক) আমার কাছে ঘরের জন্য আসলে আমি কামালের কাছে আছে বলে জানায়। তারপর তারা কামালকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে টাকা দিয়েছেন সেটা শতভাগ সত্য।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নেয়ার টাকা লেনদেনের বিষয়ে অভিযুক্ত কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা দেয়ার যে ভিডিও আছে, সেটা তারা আমার গাড়ি ভাড়ার জন্য খরচ দিয়েছেন। তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আপনি হাটহাজারী উপজেলায় আসেন বসি এবং কথা বলি। আপনারা সাংবাদিক মানুষ। আপনাদেরকে অনেক সম্মান করি।

হাটহাজারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।