গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। এর মাধ্যমে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় আরো একটি দল যুক্ত হলো। আজ শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের আশরাফাবাদ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় শূরা সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
দলটির প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে আসন বণ্টনের বিষয়টি এখন বলা যাচ্ছে না। খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীসহ দলের ২০১ জন শূরা সদস্যের অধিকাংশই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৯টি ইসলামী দলের ১৪ জন নেতা। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীও ছিলেন।
খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মনোনয়নপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা মনোনয়নপত্র থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিই না।
নির্বাচন কমিশনে ৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত। এর মধ্যে ইসলামপন্থী ১১টি দলের সাতটি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। এর মধ্যে শুধু তরীকতের গত দুটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। নির্বাচনে যাচ্ছে না কওমি মাদরাসাভিত্তিক ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস।বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে দুই দিন আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপি ছাড়াও জামায়াত, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন ও বাম ঘরানার দলগুলো এখনো নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে অনড় আছে।বিএনপির সমমনা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। জেএসডি নির্বাচনে যেতে পারে এমন গুঞ্জনের মধ্যে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। একই সঙ্গে দ্বাদশ সংসদের পাতানো নির্বাচন থেকে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।