মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে থাকা প্রেমের টানে ছুটে আসা সেই ভারতীয় নাগরিকের লাশ তার নিজ দেশে নেয়া বা স্থানীয় ভাবে দাফনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।ভারতের উত্তর প্রদেশের হাসানপুরের বাসিন্দা জাভেদ খানের (২৯) লাশ ছয় দিন ধরে মর্গে পড়ে আছে ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনো মৃতের পরিবারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।লাশটি তার নিজ দেশে নিতে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে স্বজনদের। অন্যথায় স্থানীয় ভাবে দাফন করা হতে পারে তার লাশ।
প্রসঙ্গত- প্রেমের টানে বরিশালে আসা ভারতীয় যুবক জাভেদ খানের (২৯) মৃত্যু হয়েছে।তিনি গত ৯ অক্টোবর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বরিশালে এসেছিলেন। প্রেমিকার সঙ্গে হোটেল থাকার এক দিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।এরপর বুধবার (১২ অক্টোবর) ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।ময়নাতদন্ত শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে তাঁর মরদেহ। জাভেদের প্রেমিকা জানান, তার সঙ্গে দেখা করতে গত রবিবার জাভেদ বরিশালে আসেন।তিনি নগরীর কাটপট্টি এলাকার হোটেল অ্যাথেনার ৪১০ নম্বর রুম ভাড়া নিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, পরের দিন সোমবার বুকে ব্যথা দেখা দিলে জাভেদকে শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতেও ভর্তি করা হয়। বুধবার ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের পরামর্শে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতির মুহূর্তে জাভেদের মৃত্যু হয়।
জাভেদ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার পরিবারকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী।তিনি জানান,ফেসবুকের মাধ্যমে তিন বছর আগে তাদের পরিচয় হয়।একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।জাভেদ এর আগেও বরিশালে এসেছিলেন এবং সর্বশেষ তার সঙ্গে দেখা করতে ৯ অক্টোবর বরিশালে আসেন।তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা যেভাবে বলবে সেভাবেই মরদেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাভেদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।