ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবী ভাংগা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ মোল্লা সনেটের। আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের ভাংগায় সমাবেশ উপলক্ষে ভাংগা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিশেষ সাক্ষাৎকার।
প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী ভাংগা আসবেন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কেমন লাগছে?
সনেট: গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ১০ অক্টোবর ভাংগায় আসবেন নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রধান বিভাগীয় শহরে জনসভা করলেও, উপজেলা হিসেবে প্রথম ভাংগা উপজেলার জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। যার সবটুকু কৃতিত্ব ফরিদপুর-৪ এর গনমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, আমার নেতা, জননেতা জনাব কাজী জাফরউল্যাহ সাহেবের।বঙ্গকন্যার আগমনে ভাংগা উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে জনসাধারণের অনুভূতি কেমন মনে হচ্ছে?
সনেট: জননেত্রীকে ভাংগা উপজেলা সহ ফরিদপুর জেলার আপামর জনসাধারন স্বাগতম জানানোর জন্য প্রস্তুুত। এ যেন ঘরের সন্তান ঘরে ফিরে আসতেছে মায়ের বাড়িতে। আবাল-বৃদ্ধ বনিতার সবাই তাকে একবার চোখে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।
প্রশ্ন: ছাত্রনেতা হিসেবে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নেত্রীর কাছে কিছু চাওয়া আছে?
সনেট: বৃহত্তম ১৭ জেলার মধ্যে একটি ফরিদপুর। সারা দেশে ৫০ টির উপরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও আমাদের জেলায় তা নেই, যা আমাদের অনেক ব্যথিত করে। আমাদের নেতা জননেতা জনাব কাজী জাফর উল্যাহ সাহেবকে আমাদের ছাত্রলীগের দাবীটা অবগত করেছি। আশারাখি তিনি নেত্রীর সাথে কথা বলে মঞ্চে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষনার ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়া ভাংগা উপজেলা হাসপাতাল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট, যা অতি নগন্য। সড়ক ব্যবস্থা ভালো থাকার কারনে আশেপাশের উপজেলার সকল রোগীদের ভীড় থাকে প্রতিনিয়ত, সাথে ২৬ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে ভাংগা সড়ক এলাকায় অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ায় নানারকম দুর্ঘটনার শিকার, চিকিৎসা সেবার জন্য একটি উন্নত মানের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল জরুরী।
প্রশ্ন: এখানে এসে জানতে পারলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফর উল্যাহ ও মাননীয়
সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরীর দুইটি গ্রুপ চলমান?
সনেট: এটা আসলে ভুল ধারনা, আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখানে শুধু কাজী জাফর উল্যাহ সাহেব করেন। এমপি সাহেব নৌকাকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন। জামায়াত ও বিএনপি সকল নেতা-কর্মীকে তিনি আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেন। তিনি নৌকার কথা বলে, নেত্রীর আত্বীয় বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। তার অনুসারীরা নেত্রীর প্রোগ্রাম স্থগিত বলে উল্লাস করেছেন। যা দেখে আমাদের মর্মাহত করেছে।
প্রশ্ন: এমপি সাহেবকে আপনারা কি কোন ম্যাসেজ দিতে চান?
সনেট: মাননীয় এমপি সাহেব, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। নেত্রীর আত্বীয়। তার কার্যক্রম আমরা মূলধারার আওয়ামী লীগে চাই। তিনি জনেনেত্রী শেখ হাসিনার উপরে ভরসা রেখে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা যাকে দেওয়া হবে তার পক্ষে উনি কাজ করে প্রমান করে দিবেন তিনি প্রকৃত আওয়ামী লীগ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধান যদি নিক্সন চৌধুরী সাহেবকে নৌকা দেয় তাহলে আপনারা কি করবেন?
সনেট: উনাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার সম্ভাবনা নেই, তার বড় প্রমান এই জনসভা। তথাপি যদি নিক্সন সাহেব নৌকা পান, তাহলে গ্রান্টি দিয়ে বলছি, শুধু ছাত্রলীগ না, ভাঙ্গা উপজেলার সকল সংগঠন তার পক্ষে কাজ করবে।
শেষ প্রশ্ন: আপনার উপজেলা জনসাধারণকে উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
সনেট: শুধু একটা কথা বলব, আমার নেতা জননেতা জনাব কাজী জাফর উল্যাহ তিন উপজেলায় কোনদিন ব্যবসা করেন নাই, জীবনের সবটুকু দিয়ে তিনি আপনাদের ভালোবেসেছেন এবং পাশে থেকেছেন। আপনারা যে যার নিজের অবস্থান থেকে লিডারের জন্য কিছু করবেন এই আশা থাকবে সকলের প্রতি।