এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় জোরপূর্বক অন্যের ফসলী জমি কেটে সেচের ড্রেন করতে বাধা দেওয়ায় রোকেয়া খাতুন(৪০) নামে এক নারীকে বেধরক মারধোর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে আহত ওই নারী তাঁর এ অভিযোগের বিষয়টি তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছন।
এর আগে গত বুধবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের মৃত আলী আমজদের ছেলে আল-মামুন(৩৫) ও তার বড় ভাই মাসুম মিয়া (৪০) কর্তৃক রোকেয়ার ওপর মারধোরের এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে আহত ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত রোকেয়া খাতুন ওই গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালামের স্ত্রী।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে আহত রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত আলী আমজাদের ছেলে অভিযুক্ত আল- মামুন (৩৫) ও তার বড় ভাই মাসুম মিয়াকে (৪০) আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুনই গ্রামের মৃত আলী আমজাদের ছেলে আল- মামুন ও মাসুমদের সাথে জমিজমা সহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আব্দুস ছালামদের বিরোধ চলে আসছিল।
এরই মধ্যে বাড়ির পাশের বোরো জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য আল-মামুন ও তার ভাই মাসুম মিলে তাদের জমিতে বিএডিসি’র অনুমোদন নিয়ে সেখানে তারা একটি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ স্থাপন করে তারা নিজেদের জমিসহ টাকার বিনিময়ে আশপাশের কৃষকদের বোরো জমিতেও সেচ দিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায় বুধবার সকালে মাসুম ও আল-আমিন মিলে তারা জোরপূর্বক কৃষক আব্দুস সালামের ফসলী জমি কেটে তারা তাদের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ড্রেন করতে থাকে। এসময় আব্দুস ছালাম বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি তাদেরকে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে মাসুম ও আল-আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে রোকেয়া খাতুনকে বেধরক মারধোর করতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাত থেকে আহতাবস্থায় রোকেয়াকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেন। পরে তিনি সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে এসে তাদের বিরুদ্ধে থানায় এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আল-মামুন বলেন, আমরা ওই মহীলাকে কোনো ধরনের মারধোর করিনি। এটি পুরোটাই একটি সাজানো নাটক।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।