গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাইংকা গ্রামে অর্থের বিনিময়ে জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা, উচ্ছেদসহ জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীর এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো: আলম মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাইংকা গ্রামের সাজেদুল ইসলামের চাচাতো ভাই হামিদুর রহমান ও লিয়াকত ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে সাজেদুল ইসলামের তফসিল বর্ণিত ৮০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন তার চাচাতো ভাই হামিদুর রহমান ও লিয়াকত। তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে জোরপূর্বক উল্লেখিত জমি দখল করে নেয়ার নেতৃত্ব দেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো: আলম মিয়া। বিভিন্ন সময় ইউপি সদস্য লোকজন নিয়ে সাজেদুলের বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে আলম মিয়া নামের ওই ইউপি সদস্য।
ইউপি সদস্যের হুমকি-ধামকিতে সাজেদুল ইসলাম সম্প্রতি ফুলছড়ি থানায় ইউপি সদস্য আলম মিয়া, হামিদুর রহমান, লিয়াকত ও লাল মিয়াসহ ৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের পর সাজেদুলের পরিবারকে দেখা নিবে বলে হুমকি দেয়া অব্যহত রেখেছে।
ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম বলেন, আলম মেম্বার আমাদের বংশের কেউ না। সে আমাদের চাচাতো ভাইদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমাদের তফসিল বর্ণিত জমির কাগজ থাকা সত্বেও লোকজন নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং রাস্তা-ঘাটে যে কোনো স্থানে পরিবারের কাউকে একা পেলে মেরে ফেলবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো: আলম মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি, সব কিছু অস্বীকার করে বলেন, আমার ওখানে কোন জমি নেই, আমি কেন অন্যর জমি দখল করতে যাবো। আমাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফারুক আর্মি বলেন, আলম মেম্বারের সম্পর্কে এ রকম অভিযোগের কথা আমরা শুনতে পেরেছি। তবে তাকে আমরা সর্তক করে দিয়েছি, তার পরেও যদি ঐ জমি নিয়ে কোনভাবেই বলপ্রয়োগ করে তাহলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তার বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, সুষ্ঠু তদন্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।