বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে টান টান উত্তেজনার মধ্যে রোববার (১৯ মার্চ ) বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরবর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে বর্ধিত সভার করতে গেলে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা। আবার সেই তালা ভেঙ্গে বর্ধিত সভা করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ । বগারচর ইউনিয়ন বর্ধিত সভা উপলক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরাজ জানান, তৃণমুল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করার ঘোষণা করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই মোতাবেক রোববার (১৯ মার্চ) বিকালে ২নং বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি সহ সিংহভাগ নেতা ও সিংহভাগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপস্থিতিতে ওই তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
এদিকে শনিবারই আওয়ামী লীগের নির্ধারিত বর্ধিত সভা বয়কট করেন বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমানিক মাসুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মো হোসেন আলীকে নিয়ে কুরুচি মন্তব্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার প্রতিবাদে ও তাকে বহিস্কার না করা পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যালয় তালাবদ্ধ রাখে।
রোববার বিকালে সেই তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমাণিক মাসুমকে সাথে নিয়ে বর্ধিত সভা করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা সিদ্দিক সহ বেশিরভাগ নেতাকর্মী শনিবার থেকেই বয়কট করে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা সিদ্দিক জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অবহিত করে নাই বা আমাদের সাথে কথা বলে তারিখ নির্ধারণ করে নাই তাই আমরা বর্ধিত সভায় যায় নি। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জোড় করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে বর্ধিত সভা করেন যা গঠনতন্ত্র বিরোধী।
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কমিটির কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হওয়ার বিধান থাকলেও এখানে মাত্র ৯জন সদস্য উপস্থিত হয় বলেও জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এই নেতা।