মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
বরিশাল নগরে পারিবারিক কলহের জেরে শেখ ইকবাল কবির (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নগরের পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইকবাল কবিরের স্ত্রী জাফরিন আরা ওরফে পপিকে (৩৫) আটক করেছে নগরের কাউনিয়া থানা পুলিশ।
ইকবাল কবির নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার দলিল উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন শেখ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।ইকবাল কবির আগে লঞ্চে চাকরি করতেন।তবে কয়েক বছর ধরে তিনি অসুস্থ থাকায় চাকরি ছেড়ে পলাশপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজের ব্যবসা করছিলেন।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির ছাদে বসেছিলেন ইকবাল কবির। এ সময় পেছন থেকে ইকবালকে জাফরিন এলোপাথাড়ি কোপ দেন বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পরে ইকবালের চিৎকার শুনে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে ইকবালকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।
ইকবালের এক স্বজন বলেন, ইকবালের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে পলাশপুর এলাকার বাড়িটি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য স্বামীকে চাপ দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল রাতে এর জেরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। ইকবাল তখন বাড়ির ছাদে একা বসে ছিলেন।পরে তাঁর স্ত্রী সেখানে গিয়ে স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে দাবি করেন ওই স্বজন।
কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই জাফরিন আরাকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইকবাল কবিরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান বলেন, ইকবাল কবিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।এ ঘটনায় পরিবারে পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।