মাসুমা জাহান, বরিশাল ব্যুরোঃ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৯ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। বৈদ্যুতিক তারের ত্রুুটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।বিদ্যুৎ না থাকায় এনজিওগ্র্যাম,সিটিস্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স ও স্টাফরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।এরপর প্যাথলজি,সার্জারি ইউনিটের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি সচল হয়নি।মাঝখানে দু-একদিনের জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গত দুদিন ধরে ওয়ার্ড গুলোতে বিদ্যুৎ নেই।শুধু তাই নয়,সিত্রাংয়ের পর থেকে পুরো হাসপাতালে একসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।
হাসপাতালটিতে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২১টি।এরমধ্যে গত ১৯ দিন ধরে সাতটি ওয়ার্ডে নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ থাকছে না।বিষয়টি বরিশাল গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।তবে তাদের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ সংযোগের তার গুলো অনেক পুরোনো।মাঝে মধ্যে পুরোনো তারের কারণে শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটছে।তার গুলো বদলানোর জন্য বিভিন্ন সময় গণপূর্ত বিভাগকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।তবে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তার গুলো না বদলানোর কারণে গত ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে হাসপাতালে ২১টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে বিদ্যুৎ থাকছে না। কখনো সাতটি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ থাকলেও বাকি ১৪টি ওয়ার্ড অন্ধকার থাকছে।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সমস্যায় এনজিওগ্র্যাম, সিটিস্ক্যান, এক্স-রেসহ বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।গত দুদিন ধরে সার্জারি ইউনিটের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডসহ হাসপাতালে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নেই।এতে ওয়ার্ড গুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ হচ্ছে না|অপারেশন থিয়েটারেও মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ থাকছে না।জেনারেটর দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ চালু রাখা হচ্ছে।
হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।