(RIB) রফিকুল ইসলাম ভুলু, উপদেষ্টাঃ
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় লুটেরা নীতির কারণেই জনমনে বিভ্রন্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি I রাষ্ট্র এবং জনগণের আর্থিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে, ব্যাংকিং সেক্টরে অসাধু-দুশ্চরিত্রের দূর্নীতিবাজদের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে লোনের নামে টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দেয়া I
এ-ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে সঠিক তদন্ত না করা পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করই শ্রেয় বলে মনে করি I
ব্যাংকিং সেক্টরের যে নীতিমালা তৈরী করা হয়েছে সে-ব্যাপারে সরকার কতোটুকু ওয়াকিবহাল I এটা আগে পরিষ্কার করা দরকার I
১/ গ্রাহক যতো টাকাই রাখুক ব্যাংকে যদি ব্যাংক কখনো দেউলিয়া ঘোষিত হয়, সেক্ষেত্রে গ্রাহক ফেরত পাবে ১ লক্ষ টাকা I তাহলে বাকী টাকা কে দিবে ? এরপরে যাদের টাকা ১ লক্ষের নিচে জমা থাকবে তারাও কি পাবে ১ লক্ষ টাকা করে ?
২/ এরপরে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়, যার সঠিক খতিয়ান তারা দিতে অপারগ I এমনকি তাদের ভাষ্যমতে ফিক্স ডিপোজিট থেকেও টাকা কেটে নেয়া হয় সরকারী বিভিন্ন দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনার নামে I প্রবাসীরা অনেক ক্ষেত্রে এতো হিসাব বুঝেওনা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হিসাব পেতে পেতে জীবন সাড়া I
যদি ১ কোটি প্রবাসীর একাউন্ট থেকে মাসে গড়ে ৫ হাজার টাকা করে কাটা হয়, তাহলে বছরে কতো শতো কোটি টাকা ব্যাংক হাতিয়ে নেয় ? সেখান থেকে সরকারী ফান্ডে সাহায্যের নামে ব্যাংক কতো টাকা জমা করে আর বাকী টাকা কোথায় যায়, এটা সরকার কিভাবে মনিটরিং করে থাকেন ?
অথচ প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় নানবিধ দাবী- দাওয়া করা সত্বেও সেই সকল দাবী- দাওয়ার প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছেনা, যারফলে আজ আমাদের এই পরিনতি দাঁড়িয়েছে বলে মনে করি I
কেনোনা ব্যাংক যদি কোনো কারণে দেউলিয়া হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যতো টাকাই জমা থাকুক না কেনো গ্রাহক শুধু সামান্য কিছু ফেরত পাবে ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী I
আসলে এটা কোন যুক্তিতে কিসের ভিত্তিতে এরকম ভিত্তিহীন কার্যক্রমের নীতিমালা হতে পারে ? সেক্ষেত্রে জনমনে সন্দেহ হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করি I কেনোনা লক্ষ-কোটি টাকা জমাকৃত ব্যাংক যদি নিজেদের স্বার্থে দেউলিয়া ঘোষাণা করে, সেক্ষেত্রে জনগন এবং সরকারের কিছু করার থাকবে কি ?
আসলে দূর্নীতিবাজরা সরকারকে ডুবানোর জন্য বিভিন্ন সেক্টরে বসে সুপরিকল্পিত ভাবে নানাবিধ ফন্দি এটে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্দিধায়, এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে বলে মনে করি I অতি দ্রুত সরকারের উচিত এই সকল দূর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে ব্যাংকিং খাতকে রক্ষা করে রাষ্ট্র এবং জনগণের নিরাপত্তা দেয়া I
বিশেষ করে ব্যাংকিং সেক্টরের দূর্নীতি ও লুটেরা পদ্ধতির কারণে দেশকে অগ্রসর হতে দেয়া হচ্ছেনা I কোটি- কোটি টাকা ঘুষ, দূর্নীতির মাধ্যমে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দিচ্ছে লোনের নামে ব্যাংকের সকল অর্থ I অনেক ক্ষেত্রে জনগণকে আই ওয়াশ করে ৠন খেলাপি বলে, ২/৪ জনকে জেলে ঢুকিয়ে পর্যায়ক্রমে দেউলিয়া ঘোষণা করে মাফও করে দেয়া হয় I কেনোনা টাকাতো দেশের বাহিরে চলে গেছে, এখন আর কি করার আছে, যা হবারতো হয়েই গেছে I এটা আমি মনে করি রাষ্ট্র এবং জনগণের সংগে ধোঁকাবাজীর সামিল I
অথচ বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের অভিঞ্জতাকে কাজে লাগিয়ে ছোট-ছোট প্রজেক্টের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত স্বল্প সুদে প্রবাসী ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা স্বস্থি পাবে এবং টাকাটা দেশের মাটিতে রয়ে যাবে, সাথে সাথে দেশেরও উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী I এক্ষেত্রে হয়তো শতকরা দশজন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার I এতে করে বিভিন্ন কর্ম- সংস্থান এবং ছোট কিংবা মাঝারী কল- কাখানা গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস I
আমি মনে করি ব্যাংকিং সেক্টরে যতোগুলো অপরাধের সংগে জড়িত রয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের অর্থ এবং সম্পত্তির জড়িপ করা উচিত I
বিশেষ করে ব্যাংকিং সিস্টেমের বাহিরে বিকাশ কিংবা অন্য মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা কেনো রাখা হয়েছে ? এই বিকাশের নামে হুন্ডির ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে প্রবাসীদের ধারণা I
এসকল ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর ভূমিকা পালন করে জবাব দিহিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে এবং জনগণকে সততা, নিষ্ঠা এবং সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে I সেখানেই দেশ এবং জাতির উন্নতি সাধন হবে I
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।