মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধঃ
১৭ মে ১৯৮১। সময়টা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলের শেষ ভাগ। স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র তখন সামরিক শাসকের বুটের তলায় পিষ্ট। এমনই এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁকে বহনকারী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসন শেষে স্বজনের রক্তে ভেজা মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা হয়ে পড়েন আবেগাপ্লুত।
ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন লাখ লাখ মানুষ বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বরণ করে নেয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দুহাত তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবিস্মরণীয় জনজোয়ারের মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দলের হাল ধরেন। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি কখনো জনগণ থেকে দূরে থাকেননি বঙ্গবন্ধুকন্যা।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু । শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। দৃশ্যমান হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, লক্ষ্য এখন স্মার্ট বাংলাদেশ।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।