প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৭, ২০২২, ৯:৩৫ পি.এম
লেখকঃ এম এস আই টুটুল সাতক্ষীরাঃ
যাদের বাস্তবে রুপদান করার ক্ষমতা নেই তারা শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ বানী করে।
এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জানা অপরিহার্য।
(মিথ্যা ও সত্যের রাজনীতি!)
মিথ্যাঃ
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে সব মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হবে, মুসলিমদের নামাজ পড়া বন্ধহয়ে যাবে।বিবি তালাক হয়ে যাবে, টুপি পরা লোক দেখা যাবে না।(২৮/১/১৯৯১ চ্ট্রগ্রাম জনসভায় খালেদা)
সত্যঃ
আওয়ামালীগ তিন তিনবার ক্ষমতায় আসলেও কনো মসজিদ ভাঙ্গা হয়নি বরং ৬৭ হাজার ২৭৩ টি নতুন মসজিদ নির্মাণ হয়েছে এবং প্রতিটি মসজিদ সরকারি অনুদানের আওতায় আনা হয়েছে।
মিথ্যাঃ
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্য্যন্ত ভারতের দখলে চলে যাবে।এদেশ ভারতের কৃতদাশ হয়ে যাবে। পার্বত্য টট্টগ্রাম ভারতের কাছে বিক্রয় করে দিবে।(৩০/১/১৯৯১ ফেনীর জনসভায় বেগম খালেদা)
সত্যঃ
আওঃ ক্ষমতায় এসে দেশ ভারতের দখলে যাওয়া তো দূরের কথা বরং ৬৮ বছরের পুরাতন ছিটমহল সিমান্ত বিরোধ নিসপত্তি করতঃ বিশাল ভুখন্ড উদ্ধার করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মিথ্যাঃ
আওঃ ক্ষমতায় এলে এদেশে আবার দূর্ভিক্ষ নামবে, লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।মানুষ খাবারের জন্য হানাহানি করবে।(২৩/২/১৯৯১ ঢাকার জনসভায় খালেদা)
সত্যঃ
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে সয়ংসসম্পূর্ণ। এ সরকারের আমলে ক্ষুধা,দূর্ভিক্ষ,মঙ্গা এদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। বরং বিএনপি আমলে খাদ্য ঘাটতি ছিল ও সারের জন্য কৃষক কে জিবন দিতে হয়েছে।
মিথ্যাঃ গঙ্গার পানি চুক্তি হলেও বাংলাদেশ এক ফোটা পানি পাবেনা। দুই বছরের মধ্যে পদ্মা নদিতে গাড়ি চলবে।(১৪/১২/১৯৯৬ পানি চুক্তির বিপক্ষে খালেদার বিবৃতি)
সত্যঃ
পদ্মা আজও বহমান।শেখ হাসিনার কৃতিত্বে শুষ্ক মউসুমে বাংলাদেশ ৪৪হাজার কিউসেক পানি পাচ্ছে। উত্তর অঞ্চল আজ ক্ষরা মুক্ত।
মিথ্যাঃ
ভারতের সাথে ২৫ বছরের চুক্তি আসলে গোলামি চুক্তি। এই চুক্তি বাতিল করতে হবে, নহলে বিএনপি ক্ষমতায় এলে চুক্তি বাতিল করা হবে। (২৮/১/২০০০সালে জাতিয় সংসদে খালেদা)
সত্যঃ
২৫ বছরের বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী চুক্তি কনো গোলামী চুক্তি নয়। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সে চুক্তি বহাল রাখেন। ভারত সফর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন জবাবে বলেন, ওহ্,, আমি তো গঙ্গার পানির কথা তো বলতে ভুলেগেছিলাম।(খালেদা)
মিথ্যাঃ
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ছিল আওঃ এর আভ্যান্তরীন কন্দলের ফল।আমরা আসামীকে চিহ্নিত করেছি মুল আসামী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। (১১/১/২০০৫ সংসদে খালেদা) বিরোধী দলিও নেতা তার ভেনিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। (১১/১/২০০৫ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুঃ বাবর)
সত্যঃ
প্রতিহিংসার রাজনীতিকে চরিতার্থ করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার অপচেষ্টায় এই নিঃশংস হত্যাযগ্য চালানো হয়। জজ মিয়া ছিল সাজানো নাটক। বাস্তবে এটা তারেকের জঙ্গী তৎপরতার একটি অংশ।
মিথ্যাঃ
আমরা সারাদেশের মানুষ কে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার উদ্দ্যেগ নিয়েছি। ২০০৬ সালের মধ্যে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।(৩১/১০/২০০২ খালেদা)
সত্যঃ
আওয়ামীলীগের রেখে যাওয়া ৪ হাজার মেগাওয়াট হতে কমে দাড়ায় ২৭৫০ মেগাওয়াটে। দিনে ১০/১২ ঘন্টা লোর্ডসেটিং। বিদ্যুৎ এর ৮০ শতাংশ টাকা ব্যায় করেন খাম্বা ক্রয়ের নামে বিএনপি জামাত সরকার। খাম্বা ক্রয় করেন তারেকের ব্যবসায়ী পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এর কাছে থেকে।
মিথ্যাঃ
বি এনপি মুক্তিযোদ্ধার দল, স্বাধিনতার দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের প্রধান আদর্শ।(২৬/৩/২০০২ খালেদা)
সত্যঃ
বিএনপি স্বাধিনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান পৃষ্টপোষক। প্রেসিডেন্ট জিয়া এদেশে স্বাধিনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। প্রধান যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম কে দেশে এনেছিলেন, রাজাকার শাহ আজিজ কে প্রধান মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া দুই যুদ্ধাপরাধী খুনি ধর্ষক সংখ্যালঘু নির্যাতনকারি কে মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়ে তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পবিত্র পতাকা শোভিত হয়েছিলো। এবং ৩০লক্ষ শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রান ও ২লক্ষ মা বনের সম্ভ্রম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন।
মিথ্যাঃ
বিএনপি সৎ ও দূর্নীতিমুক্ত রাজনীতির প্রতিক। আমরা ক্ষমতায় গেলে দূর্নীতি কে চিরতরে মুক্ত করবো। স্বাধীন দূর্নীতি দমন কমিশন গঠন করবো। (২৮/১০/২০০১ জাতির উদ্দেশ্যে খালেদা)
সত্যঃ
বিএনপি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ দূর্নীতিতে ৩ বার বিশ্বচাম্পিয়ান। তারেকের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন পরিনত হয় দূর্নীতির আখড়ায়। এফ বি আই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ৫ বছরে তারেক রহমান সারা বিশ্বে ২০হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। বেগম জিয়া নিজে এতিমের টাকা চুরির দায়ে এখন সাজা ভোগ করছেন। এটাই দূর্নীতিমুক্ত রাজনীতির প্রতিক।
মিথ্যাঃ
পদ্মা সেতু ফাকা আওয়াজ। কোন দিন এই সেতু হবেনা।(১১/১০/২০০৯ বগুড়ায় খালেদা) পদ্মা সেতুর নকশায় গন্ডোগোল আছে।এজন্য কনো স্প্যান বসানো যাবেনা। টুকরো টুকরো জোড়া তালি দেওয়া, উঠলে যে কনো সময় ভেঙ্গে যাবে।(২৯/১/২০১৭ বিএনপি মহা সচিব ফকরুল, প্রেস ব্রিফিং)
সত্যঃ
পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা। ভিক্ষা ও ঋন করে নয়, নিজের টাকায় বাংলাদেশ পদ্মা সেতু করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শি নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আমাদের সম্মান ও মর্যাদার প্রতিক।
তেলের দাম বৃদ্ধি
সরকার চাইলে বরাবরের মতোই জ্বালানি তেল এবং বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে পারতো।সরকার সব সময়ই কোটি কোটি টাকা ভর্তুতি দিয়া আসছিলো এইসব সেক্টরে।
সামনে ইলেকশনকে কেন্দ্র করে এখনও দিতে পারতো কিন্তু ভবিষ্যতে এর ফলাফল হতো ভিন্ন।
সাময়িক সুবিধা দিতে গিয়ে দেশকে ফেলে দিতো অন্ধকারে।
তুরষ্ক,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা জনগনকে সাময়িক সুবিধা দিতে গিয়ে দেশকে নিয়ে গেছে এখন অন্ধকারের দিকে।
এই থেকে তারা আবার ব্যাক করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনা এই ভুল করেননি।
সামনে ইলেকশন তার পরেও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তথ্য গোপন করে সাময়িক সুবিধা দিয়ে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়নি।
তেলের দাম বৃদ্ধি করছে,লোডশেডিং দিছে দেশের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য,বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশ যাতে দেওলিয়া না হয় সজন্য।
তাতে যদি শেখ হাসিনা পরবর্তীতে ক্ষমতায় না ও আসে তাতে আমার কোনো আফসোস থাকবে না কিংবা তার প্রতি কোনো অভিযোগ থাকবে না।
কারন সে তো আর নিজের ক্ষমতার লোভে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়নি।
এই দেশ ও মানুষের কল্যানের ব্রত নিয়ে কাজ করা, আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও অপপ্রচার করা রাজনীতি কে আমরা মিশ্রিত না করি। আসুন আমরা সত্য ও মিথ্যা কে পৃথক করি। সেই সাথে সকল প্রপাগাণ্ডা হতে মুক্ত থেকে সত্য কে সমর্থন করি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার