মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা- চিকিৎসক, নার্স,কর্মকর্তা- কর্মচারী সহ সেবা প্রদানকারিদের কাজে বাধা প্রদান করে ভয়ভীতি প্রদর্শন,গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের প্রতিবাদে এবং বহিরাগত ড্রাইভার বুলবুল ও অনিক সহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১০অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যানারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান আশাদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স সহ সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী আন্তরিকতার সাথে জনগনের সেবা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু বহিরাগত ড্রাইভার বুলবুল আহমেদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার হীন মানষিকতায় ভয়ভীতি প্রদর্শন, গালিগালাজ ও অশালীন আচরণ করে আসছে।
গত শনিবার (৯ অক্টোবর) বহিরাগত ড্রাইভার বুলবুল ও অনিক সহ নাম না জানা আরো কয়েকজন হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-নার্সদের মারমুখি আচরন করে অপমান অপদস্ত করে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহতসহ ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগী-অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, আশংকাজনক ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার এক শিশু রোগীর খিচুনিসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ায় অক্সিজেনসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে, রোগীর লোকজন এই শিশুকে রামেক হাসপাতালে না নিয়ে বহিরাগত মাইক্রো ড্রাইভার বুলবুল আহমেদ ও অনিককে নিয়ে আসেন। এসময় তারা (বুলবুল আহমেদ ও অনিক) সিনিয়র স্টাফ নার্স-চিকিৎসককে মারধর, হামলা ও ভাংচুরের উদ্দেশ্য বহিরাগতদের ডেকে ওয়ার্ডের ভেতরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অসদাচরন করে। বিষয়টি জানার পরে রোগীর কাছে গেলে ড্রাইভার বুলবুল আহমেদ ও অনিকসহ নাম না জানা অনেকেই মারমুখি হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ও স্টাফদের সহযোগিতায় অফিস কক্ষে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, এর আগেও বহির্বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকে গালিগালাজ, আগত রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায়, পথ্য সরবরাহ করতে বাধা প্রদান করে চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে ড্রাইভার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত হাসপাতাল গড়তে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবি করছি। উপস্থিত ছিলেন, চিকিৎসক, নার্স,কর্মকর্তা- কর্মচারীগন। এসব বিষয়ে বাঘা থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান ডাক্তার আসাদুজ্জামান আশাদ।
বুলবুল আহমেদ দাবি করেন, মৃত প্রায় শিশুর চিকিৎসা প্রদানের বিষয়াদি নিয়ে ঝামেলা হয়।
বাঘা থানার ওসি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।