মুন্নি আক্তার,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত বিএনপি–জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীতে পাঁচটি স্থানে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটের সম্মুখস্থ চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি, বারবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। আজকে যারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য অরাজকতা ও নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে তারা নিজেরা ক্ষমতায় এসেছিল অসাংবিধানিক ও অবৈধ পথে। তারা কখনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেনি। তারা সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মুছে দিয়ে একটি লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। এই সত্যটিকে তারা কিভাবে অস্বীকার করবে? এটাই তাদের প্রতি আমাদের একমাত্র প্রশ্ন।
সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ১৪ বছর ক্ষমতায়। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে তুলে যে স্থানে উত্তীর্ণ করেছেন তা দেখে বিশ্ববাসীও আজ অবাক। ১৪ বছর আগে বিএনপি বাংলাদেশকে কোন অবস্থায় রেখে গিয়েছিল সেদিকে ফিরে তাকালে অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। সে সময় দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনীতিক দল নয়। তারা মুখে এক কথা বলে অন্তরে ধারণ করে তার বিপরীতটা। তারা বুঝে গেছে যে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাদের এটা বুঝা উচিৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যম ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো পথ নেই। নির্বাচন অবশ্যই হবে। এবং তা সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এর বাইরে বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্নটির অর্থই হলো দেশে আরেকটি ১৫ আগস্টের মত ট্র্যাজেডি ঘটানো, যা এখন আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেননা এখন ১৯৭৫ সাল নয়, ২০২৩ সাল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। এ থেকে বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়ে পেছন দিকে ফেলে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিইনি। আমরা শান্তি–শৃঙ্খলা চাই, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা চাই। এই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে কোনো অপশক্তিকে রাজপথে নামতে দিতে পারি না। আমরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকব।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
আসলাম হোসেনের সঞ্চালনায় ও হাজী জহুর আহমদের সভাপতিত্বে ইপিজেড চত্বরের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কামরুল হাসান বুলু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, থানা আওয়ামী লীগের আব্দুল হালিম, এ এস এম ইসলাম প্রমুখ। কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও সাইফুদ্দীন খালেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নোমান আল মাহমুদ, জোবাইরা নার্গিস খান, নুর মো. নুরু, এডভোকেট আইয়ুব খান প্রমুখ। অঙিজেন মোড়ে খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাহেদ ইকবাল বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দিদারুল আলম চৌধুরী, গাজী শফিউল আজিম, জাফর আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক প্রমুখ। অলংকার চত্বরে নঈম উদ্দীন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও এরশাদ মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন খোরশেদ আলম সুজন, বদিউল আলম, মো. হোসেন, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।